বুধবার, মে ৮, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিদেশে যা কিছু ভালো তার সবটুকু জিয়া, খালেদা ও তারেক রহমান করেছে...

দেশে যা কিছু ভালো তার সবটুকু জিয়া, খালেদা ও তারেক রহমান করেছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুক্তির সঙ্গে না পেরে আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে আশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর উন্নয়ন ভাবনা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তার রক্তের দাগ মোছার আগেই খন্দকার মোস্তাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তাকে শপথ পড়িয়েছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। কে এম শফিউল্লাহ ও এ কে খন্দকার গিয়ে মোস্তাককে স্যালুট করেছিলেন- এগুলো বানানো কোনো গল্প নয়। ইতিহাসের পাতায় পাতায় এগুলো রয়েছে। তিনি বলেন, এ কথাগুলোই যখন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ঠিক সেই সময় তার যুক্তির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে তাকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করা হয়।

বাংলাদেশে যা কিছু ভালো তার সবটুকু জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান করেছে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, একসময় দেশের ভার মানুষ আওয়ামী লীগের ওপরে ছেড়ে দিয়েছিলো। কিন্তু ১৯৭১ সালের চরম সংকট মুহূর্তে দেশকে বিপদের মুখে ফেলে তাদের নেতা আত্মসমর্পন করে চলে যান। ঠিক সেই সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জিয়াউর রহমান সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আজ সেই জিয়াকে খুনি বলে গালি দেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এমনকি পাকিস্তানের অনুচর বলতেও দ্বিধা করেন না।

ফখরুল বলেন, একসময় শেখ মুজিবুর রহমানের ওপরই দেশের জনগণ তাদের ভাগ্য ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমরা কী দেখতে পেলাম? ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত শেখ মুজিব জাতিকে কিছুই দিতে পারেননি। তিনি গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছেন। তার আমলে সীমাহীন দুঃশাসনের কারণে ১৯৭৪ সালে দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছে। একটুকরো রুটির জন্য মানুষ এবং কুকুর কাড়াকাড়ি করেছে। রংপুরের বাসন্তি তার লজ্জা নিবারণের জন্য একটু কাপড় পায়নি। জাল দিয়ে লজ্জা নিবারণ করেছে। আজ আবার তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন কায়েমের মধ্য দিয়ে দেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে চায়।

দেশকে আবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণই এই অবৈধ সরকারকে একটা নির্দলীয় কাঠামোর অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করবে, যোগ করেন বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক ড. মাইমুল আহসান খান, মো. মামুন চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, হাফেজ ক্বারী মো. রফিকুল ইসলাম, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশীদ, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ