শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আংশিক ডুবে গেছে লাইটার জাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আংশিক ডুবে গেছে লাইটার জাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে শনিবার সকালে দুর্ঘটনায় একটি লাইটার (ছোট) জাহাজের তলা ফেটে আংশিক ডুবে গেছে। দুর্ঘটনার সময় জাহাজের ১৩ জন নাবিক কাছাকাছি থাকা অপর একটি লাইটার জাহাজে উঠে রক্ষা পান। বন্দরের উপসংরক্ষক ক্যাপ্টেন নাজমুল আলম বলেন, একটি বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের সময় ভারসাম্য হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে ছোট জাহাজটি। ক্ষতিগ্রস্ত ছোট জাহাজটি তীরের কাছাকাছি এনে রাখা হয়েছে। ফলে বহির্নোঙরে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

বন্দর ও নাবিকদের সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গা সৈকতের অদূরে বন্দর জলসীমায় অবস্থানরত বিদেশি জাহাজ ‘এমভি ওয়াদি আলবোস্টন’ থেকে সকাল সাতটার দিকে সিমেন্টশিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার খালাস করা হচ্ছিল। এ সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এমভি ওয়াদি আলবোস্টন জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন ক্লিংকার রয়েছে। এই জাহাজ থেকে ক্লিংকার খালাস করে ‘এমভি নাসা’ নামের ছোট জাহাজে বোঝাই করা হচ্ছিল।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এমভি নাসা জাহাজের মাস্টার মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আনুমানিক এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টন ক্লিংকার বোঝাই করার পর পানির তলদেশে আটকে থাকা বড় জাহাজের নোঙর সরে আসতে থাকে। এ সময় বড় জাহাজটির সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধা ছোট জাহাজটি যাতে ডুবে না যায়, এ জন্য রশি খুলে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা আঁঁচ করতে পেরে দ্রুত বড় জাহাজের কাছ থেকে ছোট জাহাজটি সরিয়ে নিতে গেলে ডুবন্ত এক জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে যায় এমভি নাসার। এ সময় জাহাজের ১৩ জন নাবিক কাছাকাছি থাকা এমভি ইস্ট বেঙ্গল-১ নামের আরেকটি জাহাজে উঠে রক্ষা পাই।’

লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ জানান, এমভি নাসা জাহাজটি ধারণক্ষমতার অর্ধেকের কম পণ্য বোঝাই করার পরই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ