সমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর রাত থেকে সমাবেশ মঞ্চ তৈরি কাজ শুরু হয়। এখন প্রায় শেষের দিকে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারা সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এই সমাবেশে তিন লাখের বেশি লোকের সমাবেশ ঘটানো হবে। এর আগে গতকাল সোমবার বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচিতে যোগদানে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে, ঢাকা মহানগর উপপুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, ১২ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০-দলীয় জোটকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত মেনে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারবে জোট। শর্তগুলোর মধ্যে আছে- দুই ঘণ্টার বেশি সময় আগে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না। সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে হবে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে। এছাড়া কোনও ধরনের লাঠিসোঁটা, ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করা যাবে না। সমাবেশস্থলের বাইরে যেন মাইক লাগানো না হয়, সে শর্তও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এরই অংশ হিসেবে ৩১ আগস্ট প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, ১ সেপ্টেম্বর ভোরে ঢাকাসহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। এছাড়া ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শোভাযাত্রা বের হবে।