লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী স্টেশন এলাকায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ অন্তত দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এস এম মামুন ও যুবলীগ কর্মী বেলাল উদ্দিন। এ ঘটনায় আবদুস সাত্তার নামে আরো এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা। তবে, এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রিদুয়ানুল হক সুজন বলেন, সম্প্রতি লোহাগাড়া থানায় দায়ের হওয়া দু’টি মামলায় কয়েকজন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীকে আসামী করা হয়। মামলার প্রতিবাদ ও লোহাগাড়া থানা ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিকাল চারটায় বটতলী স্টেশনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। সমাবেশে শুরু হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে পুলিশ অতর্কিত এসে লাটিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। তিনি বলেন, পুলিশের হামলায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং একজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, জায়গা-জমি দখল নিয়ে বটতলী মোটর স্টেশনে দু’টি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছিল। সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে একটি গ্রুপ অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ লাটিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে, কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে অবগত নন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লোহাগাড়া থেকে দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’