শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়আর্জেন্টিনার জয়

আর্জেন্টিনার জয়

বার্সেলোনার জার্সি গায়ে গোলের বন্যায় ভাসান। অথচ আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দিলেই নিজের ছায়া হয়ে যান! বার্সাকে যেভাবে ধারণ করেন, আর্জেন্টিনাকে নয়—এমন কত সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন লিওনেল মেসি! আজ মারাকানায় বসনিয়ার বিপক্ষে ৬৫ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেই গায়ের জার্সিটি বারবার টেনে যে বুনো উদযাপনে মাতলেন আর্জেন্টিনা জাদুকর, এতদিনের চাপা ক্ষোভ যেন আগ্নেয়েগিরির লাভার মতো ছিটকে বেরোলো! বুঝিয়ে দিলেন, মেসি অন্যন্য-অসাধারণ— সে যে জার্সিতেই হোক! মেসির দিনে আর্জেন্টিনা জিতল ২-১ গোলে।
ম্যাচের তিন মিনিটেই ফ্রি-কিক পেল আর্জেন্টিনা। দায়িত্ব বর্তাল আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ওপর। মাপা শটে মার্কোস রোহা ব্যর্থ হলেন হেডে গোল করতে। বল চলে গেল বসনিয়ার সিয়াদ কোলাসিনাচের পায়ে। শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা৬৫ মিনিটে মেসির গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা| গঞ্জালো হিগুয়েনের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বসনিয়ার তিন ডিফেন্ডার কাটিয়ে রক্ষণভাগ ভেদ করে বসনিয়ার জালে বল জড়িয়ে দিলেন আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। ৮৪ মিনিটে ভেদাদ ইবিসেভিচের শটটি চেষ্টা চালিয়েও আটকাতে পারলেন না আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক রোমেরো। ওই গোলে ব্যবধান কমাল বসনিয়া। ৭৭তম দেশ হিসেবে বসনিয়ার বিশ্বকাপ অভিষেকটা হলো পরাজয়ের অভিজ্ঞতা দিয়ে।
আর্জেন্টিনার পাসিং ফুটবলের বিপরীতে ইউরোপের চিরায়ত গতিশীল খেলার নির্দশন ধরে রাখার চেষ্টা করেছে বসনিয়া। তবে দলের অন্যতম ভরসা এডিন জেকো ছিলেন নিস্প্রভ। ভালোই আক্রমণ চালিয়েছিল সুসিচের দল। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে বসনিয়া শট নিয়েছে ১৬টি। লক্ষ্যে শট ছিল ১১টি। আর্জেন্টিনার শট ছিল ১১টি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ৫টি। রোমেরোর কয়েকটি সেভ ছিল অসাধারণ। কয়েকবার আক্রমণ চালিয়ে বসনিয়ার রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি আর্জেন্টিনা।

ভেদাদ ইবিসেভিচের গোলটি যেন বসনিয়ার আক্ষেপই বাড়িয়েছে। কোলানসিচের ওই আত্মঘাতী গোলটি না হলে আর্জেন্টিনার মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে অন্তত ড্র করেও মাঠ ছাড়তে পারত বসনিয়া। তবে মাঠের লড়াইয়ে তারা যা করেছে, তাতে দলটি অনেক দর্শকেরই প্রশংসা পাবে।

জাদুকরীয় ঝলক-টলক বাদ দিলেও কাল মেসি ভালোই খেলেছেন।  ৯০ মিনিট খেলে মেসির পাস সংখ্যা ৬২, শট নিয়েছেন তিনটি। ম্যাচসেরাও তিনি। এ বিশ্বকাপে তারকা খেলোয়াড়েরা গোল পাচ্ছেন, মেসিও পেয়েছেন—এটিই আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সবচেয়ে বড় স্বস্তিদায়ক খবর। বিশ্বকাপে  666666৬২৩ মিনিট পর গোলের দেখা পেয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এই প্রথম মারাকানায় বিশ্বকাপ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো। আর সেটির কাব্যিক শুরু হলো মেসিদের হাত ধরেই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ