শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়এই সরকার অবৈধ, এই সংসদ অবৈধ

এই সরকার অবৈধ, এই সংসদ অবৈধ

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এই সরকারের আমলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। তারা অবৈধ সরকার। এই সংসদ অবৈধ। ফলে আওয়ামী লীগকে বিদায় নিতে হবে, শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য আবার নিরপেক্ষ সরকারকে নিয়ে আসতে হবে। এই দাবিতে জনগণকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন।

তিনি বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ভয় পায়, তাই তারা সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায় না। তারা শুধু তাদের অনুগতদের নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। তারা জনআতঙ্কে ভুগছেন। এ সBNP_shomabes_Khaledaময় তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন, গত নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়নি। কেন্দ্র পাহাড়া দিয়েও সুষ্ঠু ভোট করতে পারেননি। মানুষকে ভোট কেন্দ্রে আনতে পারেননি। আর দেরি নয়, তাড়াতাড়ি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নেন। দেশে আবার নির্বাচন দিন। আর মানুষ খুন করবেন না, গুম করবেন না। মুন্সীগঞ্জ লক্ষ্মীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এক জনসভায় বিএনপি নেত্রী একথা বলেন।

তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগের নীতিই হলো জোর করে ক্ষমতায় আসা, স্বাধীনতার পর তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনো তারা রক্ষী বাহিনী তৈরি করেছিল। এখন ৠাব দিয়ে তারা খুন-গুম করছে। স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনী যা করেছিল, এখন ৠাব তাই করছে। “খুন-গুমের বাইরে এখন তারা ব্যবসাও করছে। ৠাব এখন গ্যাংরিন হয়ে গেছে। এটাকে কেটে বাদ দিতে হবে। সংস্কার-ফংস্কার করে কিছু হবে না। এদের দিয়ে আর কোনো ভাল কাজ হবে না।” সারাদেশে বিএনপি ৩২০ খুন-গুমের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া।

এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জের সেভেন খুনের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বলেন, এরা কার জামাই, কোন দলের নেতার আত্মীয় তা বিবেচনায় নেওয়া যাবে না। এ সময় খালেদা জনসভায় আগত মানুষকে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা কি কেউ বলতে পারবেন, আপনারা নিরাপদ? এ সময় জনসভা থেকে ‘না’ ‘না’ ধ্বনি উঠে। খালেদা আরো বলেন, আমরা এই অনিরাপদ বাংলাদেশ চাই না। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ চাই।

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, এখানে গার্মেন্ট সেক্টর সবচেয়ে বড় শিল্প। সেখানে অনেক নারী শ্রমিক কাজ করে। কিন্তু সেটিকে দিনে দিনে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।

“কিছু দিন আগে রানা প্লাজা ধসে অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন। তাদের ক্ষতিপূরণের নামে দেশ-বিদেশে ব্যাপক টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হয়নি।” ক্ষতিগ্রস্তরা আমার অফিসে এসেও বলেছে তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। এখন বিদেশিরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

এ সময় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারি কোনো ভোট হয়নি। মানুষ ভোট দেয়নি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল অংশ নেয়নি। “ভাগ-বাটোয়ারার রাজনীতিতে আমরা যেতে চাই না। বিএনপি জনভোটের নির্বাচন চায়।”

“আওয়ামী লীগ বলে তারা ধর্মনিরপেক্ষ দল, কিন্তু মুখে বললেও তারা তা বিশ্বাস করে না। রাতের অন্ধকারে মতিঝিলে তারা মুসলমান আলেমদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে। সেই হত্যারও বিচার হবে। সময় আসছে।” আগে ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলো আওয়ামী লীগ। এবার ৪২ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এদেরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে, যোগ করেন খালেদা। তারা হিন্দুদের উপর হামলা করেছে। তাদের মন্দির উপাসনালয় ধ্বংস করেছে। এসব ঘটনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ কেউ এদের কাছে নিরাপদ নয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ