মন্ত্রিসভার বয়ঃজ্যেষ্ঠ সদস্য হলেন ৭৪ বছর বয়সি নাজমা হেফতুল্লাহ। ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী কংগ্রেস নেতা মওলানা আবুল কালাম আজাদের স্বজন নাজমা পঞ্চদশ রাজ্যসভার সদস্য। ২০০৭ সালে বিজেপির হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হয়েছিলেন নাজমা, কিন্তু হেরে যান কংগ্রেসের হামিদ আনসারির সঙ্গে। মন্ত্রী হিসেবে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। প্রাণিবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রিধারী নাজমা বলিউড তারকা আমির খানেরও আত্মীয়। মওলানা আজাদের দল কংগ্রেসের মধ্য দিয়েই নাজমার রাজনীতিতে আসা। তবে নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ২০০৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন নাজমা। বলা হয়, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ব্যক্তিত্বের টক্কর থেকেই কংগ্রেস ছাড়েন তিনি।
স্মৃতি ইরানি
মোদির মন্ত্রিসভার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে যিনি স্থান পেয়েছেন, সেই স্মৃতি ইরানি এই লোকসভা নির্বাচনে আলোচিত মুখ। ৩৮ বছর বয়সি স্মৃতি ইরানি ভারত সুন্দরী প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উঠেছিলেন এক সময়। স্মৃতি ইরানির মুখটি সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে স্টার প্লাসের ‘কিউ কি সাস ভি কাভি বহু থি’ সিরিয়ালে তুলসী চরিত্রটির মাধ্যমে। পরে রামায়নের সীতা চরিত্রও ছোট পর্দায় রূপায়ন করেন তিনি।
রঙ্গমঞ্চ থেকে রাজনীতির মঞ্চে এসে দ্বিতীয়বারেই চমক দেখান স্মৃতি। পঞ্চদশ লোকসভায় হারের পর গান্ধী পরিবারের আসন উত্তর প্রদেশের আমেথিতে এবার তাকে পদ্মফুলের প্রার্থী করে বিজেপি। রাহুল গান্ধীর কাছে হারলেও দুই লাখের বেশি ভোট পেয়ে রাজীব-সোনিয়া তনয়ের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, যার পুরস্কার মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তি। নাজমার মতো বিজেপির সহসভাপতি স্মৃতি ইরানিও পঞ্চদশ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।