শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপহারিয়ে যাচ্ছেন এক সময়ের দুই জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর ও পূর্ণিমা

হারিয়ে যাচ্ছেন এক সময়ের দুই জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর ও পূর্ণিমা

বিনোদন  ডেস্ক (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

প্রায় একই পথে চলচ্চিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন এক সময়ের দুই জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর ও পূর্ণিমা। ব্যক্তিগত এবং পর্দা- দুটি জীবনেই একে অপরের ছিলেন চরম প্রতিদ্বন্দ্বী। শাবনূর-পূর্ণিমা কেবলমাত্র ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই দুজনেই চলচ্চিত্রের সুখময় অতীত ভুলতে বসেছেন। বিয়ে, সংসার এবং সন্তান হওয়ার কারণে তারা দু’জনেই এখন পুরোমাত্রায় সংসারি। চলচ্চিত্রের প্রতি দু’জনেরই কোন আগ্রহ নেই। অগাধ সম্পদের কারণে শাবনূর অস্ট্রেলিয়ায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করলেও পূর্ণিমা রয়েছেন নানা সমস্যায়। এর মধ্যে আর্থিক কষ্টটাই বেশি বলে শোনা যাচ্ছে। তারপরও সিনেমায় ফেরার আপাতত কোন ইচ্ছা পূর্ণিমার নেই। সন্তান একটু বড় হলে অর্থের প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনচিত্রে এবং নাটকে অভিনয় করলেও করতে পারেন বলে পূর্ণিমার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে শাবনূরের এমন ইচ্ছাও নেই। নাটকে তো তিনি কখনও অভিনয় করেননি। বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে ২-৩টির বেশি কাজ নেই তার। চলচ্চিত্রই ছিল তার সবকিছু। কিন্তু শারীরিক সমস্যা এবং বিয়ে-সন্তান ইত্যাদি কারণে এখন অভিনয়ের মতো কষ্টের কাজ করার তেমন ইচ্ছা নেই শাবনূরের। যদি ইচ্ছা থাকেও তাহলে তেমন কোন উপায় নেই। কারণ, বর্তমান চলচ্চিত্রে শাবনূরের কোন চাহিদা নেই। দর্শকরাও এখন তার জন্য পাগল হন না। উপরন্তু যাদের নায়িকা হয়ে শাবনূর শীর্ষস্থানে পৌঁছেছেন, সেই রিয়াজ-ফেরদৌসের অবস্থাও ভাল না। শাকিবের সঙ্গে রয়েছে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, মানসিক সমস্যা। ফলে শাবনূর চাইলেও নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে ফিরতে পারবেন না। তবে যেহেতু অভিনেত্রী হিসেবে শাবনূর খুবই উঁচুমানের, সেহেতু চাইলে নায়ক-নায়িকার বড়বোন বা ভাবীর চরিত্রে অবলীলায় কাজ করতে পারবেন। চাইলে নায়কবিহীন চরিত্রেও অসিম গুরুত্ব পাবেন যদি সেই ধরনের গল্প আর ভাল মানের পরিচালক হন। তা না হলে ‘অবুঝ ভালবাসা’, ‘এমনই তো প্রেম হয়’ এবং ‘স্বপ্নের বিদেশ’-এর পর চলচ্চিত্রের বর্তমান খাতা থেকে শাবনূরের নাম মুছে যাবে। অপরদিকে পূর্ণিমার বয়সের কারণে নায়িকা হিসেবেই ফেরা সম্ভব। বিজ্ঞাপন-নাটকেও কাজ করতে পারবেন। কিন্তু তার রয়েছে পারিবারিক সমস্যা। সিনেমায় থাকুক এটা তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চান না। পূর্ণিমা নিজেও স্বামীর কথার বাইরে যেতে আপাতত ইচ্ছুক নন। এখন স্বামী, সন্তান আর সংসারই তার সবচেয়ে আপন। ফলে ধরে নেয়া যায়, চলচ্চিত্র শাবনূর ও পূর্ণিমাকে ফিরে পাচ্ছে না। শাবনূরের তিন বছর পর পূর্ণিমা এসেছিলেন চলচ্চিত্রে। অনেক কষ্ট করে এক সময় শাবনূরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু দু’জনেই তাদের ফিল্মি যাত্রাটা শেষ করছেন একইভাবে। হাঁটছেন একই পথে। তাদের এই পথচলা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য কোন সমস্যা হবে না বলে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা অভিমত প্রকাশ করে দু’জনের সুখী ভবিষ্যৎ জীবন কামনা করছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ