২০০০ সালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে বহুল আলোচিত ছাত্রলীগের আটজন নেতাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি খালাস পেয়েছেন আপিলের রায়ে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি আব্দুল হাই ও কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চের দেওয়া রায়ে তাদের খালাস দেওয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন খান, আলমগীর কবির, আযম ও মো. সোলায়মান।
২০০০ সালের ১২ জুলাই একটি মাইক্রোবাসে থাকা ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে। ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ ওই হত্যা মামলার রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওই চারজনই আপিলের রায়ে খালাস পেলেন। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার রাহাত্তারপুল এলাকায় সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। নিহতরা হলেন, সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের ভিপি হাসিবুর রহমান হেলাল, সোহাগ, বাবু, কাশেম, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন, মনু মিয়া ও জাহেদুল ইসলাম।
বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ। ওই রায়ে সাজ্জাদসহ চার শিবির ক্যাডারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। এ ঘটনার পর ২০০৪ সালে দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ভারতে পালিয়ে যান। ২০১২ সালের নভেম্বরে সাজ্জাদ ভারতে গ্রেফতার হন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।