সোমবার, মে ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদতথ্য-প্রযুক্তিবাজেটে আইসিটি খাতের মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে

বাজেটে আইসিটি খাতের মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে

ICT-Editবাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আইসিটি খাতের জন্য আলাদা বই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা: হালচিত্র ২০১৩’ বইয়ে আইসিটি খাতের উন্নয়নে নানা সুপারিশ করেছেন। এতে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যয় ও ব্রান্ডউইথের দাম আরও কমানোর সুপারিশ করেন।

সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগের জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সরকার আমন্ত্রণ জানাতে পারে। সব ধরনের সরকারি দপ্তরে সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও প্রোগ্রামার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় উদীয়মান আইটি শিল্পের জন্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভাগ ও জেলাগুলোতে আইসিটি ব্যবসা সম্প্রসারণে সরকার উৎসাহিত করবে। আইসিটি খাতে নারীদের উপযোগী হওয়ায় নারীদের জন্য বিশেষ পুল গঠনের মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ইন্টারনেট সেবা বৃদ্ধির জন্য দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল লিঙ্ক প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা ও উপজেলার সব সরকারি অফিসকে একটি কমন নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ভারত ও চীনের কথা উল্লেখ করে বলা হয় এ দু দেশ বিশ্বে আইসিটি মার্কেটের উচ্চ শিখরে আরোহনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটি বাংলাদেশেরও জন্য একটি সুযোগ।

ভারত ও চীন যে সব ছোট প্রতিষ্ঠানকে উপেক্ষা করবে তাদেরকে বিনিয়োগ আহ্বান কর‍ার সুযোগ প‍াবে বাংলাদেশ। উপমহাদশের অনেক আইসিটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ খুঁজছে। তাই এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

আইটি খাতে দক্ষ জনবলের অভাব, সফটওয়্যার শিল্পে কম সংখ্যক প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামোগত অসুবিধা, উচ্চগতির ইন্টারনেট ও সংযোগ এখনও ব্যয়বহুল হওয়ায় গ্রামে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক প্রতিবন্ধকতা আইটি খাতের জন্য বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে।

এসব সমস্যা সমাধানে সরকার স‍ৃজনশীল তরুণ ও আইসিটিদে দক্ষ জনবলকে আইসিটি প্রতিষ্ঠান শুরু করার জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড গঠন, দাতা সংস্থার সাহায্য, আইটি শিক্ষার জন্য শতকরা ৪ ভাগ সুদে লোনের ব্যবস্থা, কর্মজীবনে যাবার পর এ ঋণ শোধ কর‍ার সুয়োগ করে দেবে।

দেশি আইসিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি, ব্যাংকগুলোকে আইসিটি খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯-১০ অর্থবছরের তুলনায় ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে আইসিটি খাতে বরাদ্দ বেড়েছে যথাক্রমে ১৫, ৩২ এবং ৪১ ভাগ।

২০০৯-১০ অর্থবছরে আইসিটি খাতের সার্বিক বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এসে তা ৩ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা করা হয়। আইসিটি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির এ ধারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথপরিক্রমায় সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অবদান রাখছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।

সরকার সংযোগ, আন্তর্জাতিক সংযোগ, টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটারে বাংলা ভাষা সম্প্রসারণ, ইউনিকোড বাস্তবায়ন, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, বাংলা কিপ্যাড, পোস্ট ই সেন্টার, হাইটেক পার্ক বাস্তবায়ন, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল শক্তিশালী করা, ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রদর্শনী, ই-গর্ভনেন্স, ই-কমার্স, অনলাইন কেনাকাটা, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিটি খাতের মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলা বিশেষভাবে বলা হয়েছে।

এ ছাড়াও কল দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সেন্টারগুরোর জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদুৎ সরবরাহের সুপারিশও করা হয় এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ