শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়২৬ প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা

২৬ প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা

ন্যাশনাল ডেস্কঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া ও অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করে ২৬জন  প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৭ জন, বিদ্রোহী ২জন, জাতীয় পার্টির ২জন ও জাসদ এর একজন প্রার্থী রয়েছেন।  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট ডাকাতি, এজেন্টদের বের করে দেয়া ও নির্বাচনে অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে এসব প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া প্রার্থীরা হলেন- ঢাকা-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এখলাস উদ্দিন মোল্লা, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আতাউর রহমান রতন, লক্ষীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজাদ উদ্দিন চৌধুরী (হরিণ মার্কা), এড. শরিফ (ফুটবল মার্কা), জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজ আহম্মদ হাসান, জামালপুর-২ আসনের আতিকুর রহমান, বরিশাল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আকতার, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের ডা: শাহাদাত, ঢাকা-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান শহিদ, বরগুনা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন সিকদার, চট্টগ্রাম-১২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিরাজুল ইসরাম, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের জাসদের প্রার্থী নাছিরু জামান খান, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম,   ঝিনাইদহ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েব আলী, নোয়াখালী-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের জেপি মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. ফরিদ আহমেদ, বি-বাড়িয়া-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মামুনুর রশীদ এবং ফেনী-৩ আসনের জাপার প্রার্থী রিন্টু আনোয়ার ।বেলা ২টার সময় শেরপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউজ্জামান বাদশা কারচুপি ও প্রশাসনের নির্লজ দলীয় করনের অভিযোগে নির্বাজন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন মতিয়া চেৌধুরীর পক্ষে অন্ধ হয়ে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। এই নির্বাচনে থানা না থাকা সমান কথা।

ঢাকা-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এখলাস উদ্দিন মোল্লা দুপুর ১২ টায় নির্বাচন কমিশনে এসে বর্জনের চিঠি দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তার আসনে মোট ১২৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭০টি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের জোর করে বের করে দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫৪০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন। এরমধ্যে ১৫৩জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। রোববার ১৪৭ আসনে ৩৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদর মধ্যে ১২০ জন আ”‌লীগের, জাতীয় পার্টির ৬৬ জন, স্বতন্ত্র ১০৪ জন এবং অন্যান্য দলের ১০৬ জন প্রার্থী ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ