বুধবার, মে ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দির মাধ্যমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে : সেলিমা রহমান

খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দির মাধ্যমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে : সেলিমা রহমান

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

চলমান শান্তিপূর্ন কর্মসূচি সফলভাবে পালিত হওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দির মাধ্যমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বুধবার বিকালে গুলশানে তার নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র চান তাহলে অবিলম্বে অবরুদ্ধতা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।  তিনি বলেন, সরকার যৌথবাহিনী দিয়ে গণগ্রেফতার করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই এভাবে পুলিশ র‌্যাব দিয়ে মানুষকে গ্রেফতার করে আন্দোলন স্তব্দ করা যাবে না।

পাঠকদের জন্য সম্পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হলোঃ
তারিখঃ ০১ জানুয়ারী ২০১৪
টকিং পয়েন্টস
সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম। এক চরম অনিশ্চয়তা ও রাষ্ট্রীয় গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া ইংরেজি নববর্ষ-২০১৪ এর প্রথম দিনে আপনাদের প্রতি রইল আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আপনারা জানেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে পাতানো নির্বাচনী খেলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের আপামর জনগণ কখনোই এই পাতানো প্রহসনের নির্বাচন মেনে নেবে না। তাই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি সরকারকে মেনে নিতে বাধ্য করার জন্য আন্দোলনের চুড়ান্ত ধাপে উপনীত হয়েছে। গণদাবির চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ তাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও অবরুদ্ধ-আমি মনেকরি কার্যত দেশনেত্রীকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বাসার দুই দিকে বালুর ট্রাক দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কোন নেতা-কর্মীকে দেখা করতে দিচ্ছে না। দেখা করতে গেলে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে।
বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অবরুদ্ধ রেখে সরকার চরম ফ্যাসিবাদ ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে। সরকার এই ন্যাক্কারজনক স্বৈরাচারী আচরনকে আমি তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আজও সরকার সারা দেশে যৌথবাহিনী দিয়ে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি হামলা চালাচ্ছে এবং গণ-গ্রেফতার করছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে ও আহত করছে।
আমি স্পষ্টভাবে বলতে বলতে চাই, এভাবে যৌথবাহিনী দিয়ে নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গণগ্রেফতার করে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না।
ভোট নেই, খালি মাটে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল রংপুরের পীরগঞ্জে গেছেন। আজ ঢাকা নেমেছেন। প্রধানমন্ত্রী একতরফা নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে প্রচারনা চালাচ্ছেন। দেশের মানুষের কাছে এটা গ্রহণ যোগ্য নয়।
আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, ৫ জানুয়ারি ভোট জনগণ মানে না। দেশ-বিদেশের কেউই নির্বাচন গ্রহণ যোগ্যতা দেবে না।
এখনো সময় আছে, নির্বাচন বাতিল করে সমঝোতায় আসুন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।

·স্বাধীনতার ৪২ বছরের মধ্যে জাতি বর্তমানে চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। রাষ্ট্রের পুরো প্রশাসনযন্ত্র এক ব্যক্তির হাতে বন্দী হয়ে দেশে খামখেয়ালীপনার শাসন চলার কারণেই দেশ ক্রমাš^য়ে নৈরাজ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে পাশ কাটিয়ে প্রকারন্তরে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের চিরাচরিত নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী চরিত্রই হচ্ছে গণহত্যা, গুম, গণগ্রেফতার, হামলা মামলা ও নির্যাতন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  একদলীয় কর্তৃত্ত¡ প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলেই বিরোধী দল দমনে হিংস্র হয়ে উঠেছে। এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কোনদিনই সুরক্ষিত ছিল না। বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে তারা ভয় পায়। বিরোধী দল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের দমন-পীড়ণের ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে সাংবাদিক সম্মেলন করার পরপরই নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এ বাকশালী শাসনের কুৎসিত প্রতিচ্ছবি। এদের হাতে রাষ্ট্র কখনোই নিরাপদ নয়। এই অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণরুপে ব্যথর্, তাই তাদের নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী আচরণের কারনে আজ তারা গণরোষে পতিত হয়েছে।
·আমরা সরকারের এই নিষ্ঠুর অত্যাচার নির্যাতন মোকাবেলা করে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠিন পথ অতিক্রমের মধ্য দিয়ে গণমানুষের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে চুড়ান্ত বিজয়ে রুপ দিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
·বাংলাদেশের জনগন এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ চায়। অন্যথায় গণ আন্দোলনের তীব্র স্রোতে স্বৈরশাসনের পতন হবে এবং এটাই বাস্তবতা।
·সারাদেশে যৌথবাহিনীর বিরামহীন নির্যাতন চলছে। চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরিশাল, সাতক্ষীরা, খুলনা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, নীলফামারী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ সহ দেশব্যাপী হত্যা, গ্রেফতার, বাড়ীঘর গুঁড়িয়ে দেয়া, আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাটের মহৌৎসব চলছে। আমরা এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
·বিএনপি চেয়ারপার্সন, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ১৮ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নজীরবিহীন অন্যায়ভাবে তাঁর গুলশানস্থ বাসভবনে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসন যন্ত্র ও বশংবদ নির্বাচন কমিশনকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করে ৫ জানুয়ারীর হাস্যকর নির্বাচন মঞ্চস্থ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে সরকার। বিএনপি’র সদর দপ্তর এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়কে পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ রাখার মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজকর্মে বিঘœ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবন্দসহ নেতা-কর্মীদেরকে দেখা মাত্রই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ যেন গ্রেফতারের মহৌৎসব। আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই-গ্রেফতার ও নির্যাতন নিপীড়ণ চালিয়ে অতীতের কোন স্বৈরশাসকই ক্ষমতার সিংহাসন ধরে রাখতে পারেনি, আপনারাও পারবেন না। দেশীয় ও বিদেশী তথাকথিত আওয়ামী বন্ধুরাই নিষ্ঠুরতার পথ অবলম্বনে কুপরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন তরান্তিত করে আওয়ামী লীগকে দলীয় ইতিহাসের চরম পরিনতির দিকে নিয়ে যাবে।
·দেশের সুশীল সমাজ, বিজ্ঞজন, শিক্ষক, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর নির্লজ্জ আক্রমনের মাধ্যমে তাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। হামলা করা হচ্ছে তাদের স্ব:স্ব:প্রতিষ্ঠানের ওপর।
·লুটপাটের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের মালিক বনে সম্পদকে ধরে রাখার মানসেই ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য পাতানো নির্বাচনের ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই তথাকথিত সংবিধান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ৭১ এর মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া দল। এই দল রনাঙ্গনে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা গঠিত দল। কাজেই মুক্তিযোদ্ধা চেতনার দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রবিনাশী এই জংলী শাসন এদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।
·বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিখত ও দু:খজনক। এ দেশ মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। যুদ্ধ করে গোলামীর শৃক্সখল হতে মুক্ত হয়ে পুনরায় অন্য কারো গোলামী করার জন্য এ দেশ সৃষ্টি হয়নি।  কেউ যদি মনে করে এ দেশেরস্বাধীনচেতা মানুষকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অধিনস্থ করে রাখবে তা কোনদিনই সম্ভব হবেনা। জনগণ তাদের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত তা কার্যকর হতে দেবে না।
·আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আবারো আহবান জানাই-এখনও সময় আছে, দেশ-জাতি ও জনগণের স্বার্থে আত্মঘাতি পথ পরিহার করুন। প্রহসনের নির্বাচনী তফশীল বাতিলের ব্যবস্থা নিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবী মেনে নিন। বিরোধী দলীয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন, তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয় সহ বিএনপি’র সদর দপ্তর অববোধমুক্ত করুন। নইলে আপনার প্রায় ডুবন্ত নৌকা মাঝিমাল্লা সহ নিমজ্জিত হবেই। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ্।
·অবৈধ সরকারের নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতনের পরেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আহবানে চলমান শান্তিপূর্ণ ৬ষ্ঠ দফা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন স্বত:স্ফুর্ত ও সাফল্যজনকভাবে পালিত হওয়ায় ১৮ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসী এবং বিএনপি সহ ১৮ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রাজপথের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। যৌথবাহিনী দিয়ে গোটা দেশে যে বিভিষিকাময় অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। গ্রেফতারকৃত শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল নেতা-কর্মীর নি:শর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। শত বাধা বিপত্তির মাঝেও দায়িত্বপালনরত সকল সাংবাদিক বন্ধুদের ১৮ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

৬ষ্ঠ দফা অবরোধের প্রথম দিনে নির্যাতন-নিপীড়ণের সংক্ষিপ্ত চিত্রঃ
মেহেরপুর জেলা: বিএনপি ও ১৮ দল গতকাল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও যৌথবাহিনী মিছিলে গুলিবর্ষণ করলে ১৮ দলীয় জোটের নেতা আব্দুল জব্বার নিহত হয়। এ সময় মিছিলে যৌথবাহিনীর গুলিতে প্রায় ২৫ জন আহত হয়। তারা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা: শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় পুলিশ মিছিল থেকে জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি আলম, বিএনপি নেতা আনছারুল হক সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করে।

সিরাজগঞ্জ জেলা: শান্তিপূর্ণ মিছিলে যৌথবাহিনী গুলি চালালে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রফিক সরকার, বিএনপি নেতা জুয়েল, ছাত্রদল নেতা রঞ্জু, পলাশ, সুমন, শিপু, যুবদল নেতা মহব্বত হোসেন ও সুমন সহ ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়।

ঝিনাইদাহ জেলা: শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা মামুন, নাসির, রানা, রাজ্জাক, জামাল, রহমান, সুমির, শরিফুল, আফতাব সহ ২৫ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় মিছিলে পুলিশের হামলায় প্রায় অর্ধশতাধীক নেতাকর্মী আহত হয়।

বগুড়া জেলা: জেলার বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় পুলিশ মিছিলে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা রনি সহ ২৮ জনকে গ্রেফতার করে।

সাতক্ষীরা জেলা: আওয়ামী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্তাসীরা যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় জেলা বিএনপি নেতা মামুনের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ফেনী জেলা: শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় দাগনভ‚ইয়া উপজেলায় যুবদল নেতা রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম এবং ফেনী সদর থানা যুবদল নেতা শাকিল আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম, ইয়াসিন, ফারুক, বিএনপি নেতা জাফর উল্লাহ, আবু হানিফ, ছাত্রদল নেতা রুবেল, সাইফুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন সহ পুলিশ ৩০ জনকে গ্রেফতার করে। জেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল করার সময় পুলিশের হামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও ১৮ দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দিন জিয়া, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হেলাল সহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা থেকে আরও ৭২ জনকে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করে।

ময়মনসিংহ জেলা: বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় যৌথবাহিনী মিছিলে গুলি চালালে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, মাহতাব হোসেন, সিরাজুল হক, মাসুদুর রহমান, আসাদ হোসেন, বিল্লাল আহমেদসহ জেলার অন্যন্য স্থান থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ