রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েঝিনাইদহে বেসরকারী সংস্থা সিও’র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে বেসরকারী সংস্থা সিও’র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী মানব কল্যাণ প্রতিষ্ঠান সিও সংস্থার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।আজ ৬ মে সোমবার সকাল ১১ টায় জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্ক এন্ড রিসোর্ট অডিটোরিয়ামে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনে কর্মরত শত শত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সিও সংস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র – পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল সংবাদ পরিবেশনের নিন্দা ও প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবগত করানোর লক্ষ্যেই মূলত এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিও সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক মোঃ সামছুল আলম ও পরিচালক সার্বিক  মোঃ ওহিদুর রহমান। ১৯৮৬ সালে ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া থেকে সংস্থাটির প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় অবস্থিত।

সৃষ্টির পর থেকেই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ সামছুল আলম তার জীবনের সমস্ত পরিশ্রম, মেধা, মনন ও সততা দিয়ে এবং সকলের সহযোগিতায় হাটিহাটি পা-পা করে মানবসেবায় নিয়োজিত হয়ে সমাজের অসহায় সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সেবামূলক কার্যক্রম করে আসছে।

সিও সংস্থা আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থেকে সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে যেমন মাদক বিরোধী প্রচার – প্রচারনা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, বহুবিবাহ রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করা, যৌতুক, আত্মহত্যা রোধ, শিশু শ্রম, বযঃশন্ধিকালীন সচেতনতা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ইত্যাদি।সিও সংস্থা শুধুমাত্র একজন সদস্যকে ঋণ নিয়েই দায়িত্ব শেষ করে না যদি কোন কারণে একজন সদস্য অসহায় অবস্থায় পতিত হয় তাহলে সংস্থা তার পাশে দাড়াই যেমন – ঋণ গ্রহণ করে কোন সদস্য মারা গেলে তার ঋণ মাফ এবং জমাকৃত সঞ্জয় অর্থ ফেরত দেওয়া হয়,

ঋণ গ্রহণ করার পর প্যারালাইসিস বা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় তাহলে তার ঋণ মাফ করা হয়, দূর্ঘটনায় অঙ্গহানি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঋন মাফ করা হয়, কোন সদস্য মারা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তার দাফন-কাফনের জন্য পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়, ঋণ গ্রহণকারী কোন পরিবারের সন্তানেরা অর্থ অভাবে পড়ালেখা করতে না পারলে তাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, এধরণের নানা রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।বর্তমানে বাংলাদেশের ৪৩টি জেলায় সিও সংস্থার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে তার মধ্যে গ্রামীণ কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণ উল্লেখযোগ্য। কৃষি এবং গ্রামীণ অবকাঠামো আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ যে স্বাধীনতার পরে অপ্ল সময়ের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হয়েছে।

এখন আমরা উন্নত আয়ের দেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিও সংস্থাসহ অন্যান্য এনজিও সেক্টরের বড় অবদান রয়েছে বলে মনে করেন সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ।

এছাড়াও কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে তার বড় অবদান নিশ্চই এনজিও সেক্টরের সেটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। সিও সংস্থার সাবেক কয়েকজন কর্মী সংস্থার টাকা আত্মসাৎ করে সংস্থার বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন অপবাদ রটিযে বেড়াচ্ছে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে সাংবাদিকবৃন্দদেরকে স্ব স্ব পত্রিকায় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরার আহবান জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সামছুল আলম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ