শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়আপিলের শুনানির আরও ২৪ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন

আপিলের শুনানির আরও ২৪ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানির আরও ২৪ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এসময়ে আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ২৬ জনের। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে শুনানি শুরু হয়। আজ ১০০ টি আবেদনের শুনানি হবে।

এর আগে রোববার থেকে শুরু হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি। এদিন শুনানিতে ৯৪ জনের মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন ৫৬ জন। প্রার্থিতা নামঞ্জুর হয়েছে ৩২ জনের। অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৬ জন আবেদনকারীকে।

মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন

চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ, ঢাকা-১৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. নাজমুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল ওয়াহেদ, কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী, রংপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. সুমনা আক্তার, ঢাকা-৫ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী নুরুল আমিন, বাগেরহাট-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজরা শহিদুল ইসলাম, গাইবান্ধা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুমা আক্তার, কুমিল্লা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১৯ আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর প্রার্থী মো. জুলহাস, ঢাকা-১২ আসনের ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান নাজিম, রাজবাড়ী-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এস এম ফজলুল হক, নোয়াখালী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আর আমিন, বাগেরহাট-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মরিয়ম সুলতানা, জামালপুর-৪ আসনের বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের প্রার্থী তারিখ মাহাদী, ঢাকা-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারহানা সাঈদ, বাগেরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আজমল, বাগেরহাট-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামিল হোসেন, নোয়াখালী-৪ আসনের গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী সারোয়ার ই দিন, ঢাকা-১০ আসনের এনপিপি প্রার্থী কে এম শামসুল আলম, ঝালকাঠি-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিন, রাজবাড়ী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমদাদুল হক বিশ্বাস, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার কবির, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবারক হোসেন, খুলনা-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী রেজা এবং কুষ্টিয়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাজমুল হুদা।

মনোনয়নপত্র নামঞ্জুর হওয়া প্রার্থীরা হলেন

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. তাহমিনা আক্তার মোল্লা, কক্সবাজার-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমেদ, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাছির হায়দার করিম, নোয়াখালী-৬ আসনের এনপিপির প্রার্থী তরিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের এনপিপির প্রার্থী ফজলুল হক, যশোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী, নেত্রকোনা-৩ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান, ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভিন আক্তার, নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন, নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর, নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুস সামাদ প্রমানিক, ময়মনসিংহ-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল আহম্মেদ, মানিকগঞ্জ-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন, বগুড়া-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ওমর ফারুক, নেত্রকোনা-৩ আসনের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী রিগ্যান আহমেদ, বগুড়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ, ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান, কিশোরগঞ্জ=৫ আসনের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সুফিয়ান, নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আখতারুল আলম, নীলফামারী-২ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী  বিকাশ চন্দ্র অধিকারী, পিরোজপুর-৩ আসনের বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. আব্দুল লতিফ সিরাজী এবং চট্টগ্রাম-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম নওশের আলী।

মনোনয়নপত্র পেন্ডিং রয়েছে যাদের

রাজশাহী-৫ আসনের বিএসপির প্রার্থী মো. আলতাফ হোসেন মোল্লা, মানিকগঞ্জ-৩ ও ১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম রুবেল, কক্সবাজার-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমদ, দিনাজপুর-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহনেওয়াজ ফিরোজ শাহ এবং বরগুনা-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান।

মূলত, রোববার প্রথম দিনে ১০০ জন প্রার্থীর আপিল শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে ৯৪ জন প্রার্থীর শুনানি হয়। সে ধারাবাহিকতায় ৯৫ নম্বর আপিল থেকে মোট ৫৯ জনের আপিল শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে  মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। বাছাইয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ১ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। এরমধ্যে ৫৬১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন আপিল শুনে সিদ্ধান্ত দেবে। তবে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ