শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদটপযুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতি দেশের জন্য লজ্জার: ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতি দেশের জন্য লজ্জার: ফখরুল

বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতি খুশির খবর নয় বরং দেশের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্রি.জে. (অব.) আ.স.ম. হান্নাস শাহর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। ফখরুল বলেন, এসবের জন্য শেখ হাসিনা দায়ী, এই কর্তৃত্ববাদী সরকার যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে তাদের কথাবার্তা শোনে মনে হয় এই দেশে শুধু তারাই থাকতে পারবে। সরকারের লোকজন বলছে, ভিসানীতির ফলে বিএনপি বিপদে আছে। আসলে বিএনপি কোনো বিপদে নেই বরং বিএনপি আন্দোলন করতে গিয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে।mirza fakrul

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন দল ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। দল কখন ভাঙতে যায়, অন্য প্রতিপক্ষ যখন নিজে দুর্বল হয়। সবল থাকলে তো এটা করবে না। আজকে সেজন্য আমাদের দলছুট, বহিষ্কৃত লোকজনদের নিয়ে আবার দল তৈরি করে দল ভাঙছে। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলি, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, সব দলের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এর কোনো বিকল্প কিছু তারা চায় না। আর মেনেও নিবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। এটা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে সেল তৈরি করা হয়েছে। যাতে দ্রুত সব নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ট্রায়াল করে, সাজা দিয়ে নির্বাচনে অবৈধ ঘোষণা করা যায়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই সরকারকে সরকার বলা যায় না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলাম শুধু ভুখণ্ড বা ম্যাপ পাওয়ার জন্য নয়, আমরা চেয়েছিলাম একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে আমার কথা বলার অধিকার, বিভিন্ন সংগঠন করার অধিকার থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল এক ছেলের সাথে কথা হলো, সে বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে কিন্তু পরিবার বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে চাকরি হয়নি। বিএপির পরিবারের সাথে নূন্যতম সম্পর্ক থাকলে তার চাকরি-প্রমোশন হয় না। প্রত্যেক মানুষ আজ অসহ্য হয়ে পড়ছে মিথ্যা মামলার জন্য। সরকারের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তো দেশকে জিম্মি করতে পারে না। এটা দেশের জন্য সুখকর নয়।

বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্রি.জে. (অব.) আ.স.ম. হান্নাস শাহর স্মরণে মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনী থেকে যে নেতা বের হয়ে আসেন তিনি যোগ্যতা দক্ষতা নিয়ে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের রাজনীতীকে ভালোবেসে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সবসময় তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ