শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদটপনাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষীর অনুমতি পেলেন এফবিআই ও কানাডিয়ান পুলিশ...

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষীর অনুমতি পেলেন এফবিআই ও কানাডিয়ান পুলিশ সদস্য

বেগম খালোদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় আসার অনুমতি পেলেন এফবিআই ও কানাডা পুলিশের তিনজন। ১০ অক্টোবরের পর যেকোন দিন তাদের ঢাকায় আসতে সমন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এর আগে এ মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) একজন ও কানাডিয়ান রয়েল মাউনটেড পুলিশের ২ জনের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা আদালতে জমা দেয় দুর্নীতি দমন কমশিন (দুদক)। এদিকে বিদেশি সাক্ষী আনার বিষয়ে আপত্তি জানায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিদেশি তিন সাক্ষীকে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ঢাকায় আসার অনুমতি দেন আদালত। 

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য সাত আসামি হলেন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ