শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদটপবঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের খরচ ও মেয়াদ বাড়ল

বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের খরচ ও মেয়াদ বাড়ল

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে সরকার। একই সঙ্গে প্রকল্পের খরচও বাড়ছে ৩১৫ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে গত ১২ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথমভাগে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে চালু হবে দেশের প্রথম টানেল।

তিনি বলেছিলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক বিভাগের ধারাবাহিক উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক। এরই মধ্যে আমাদের সাহসের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এ সেতুর সুফল শুধু ২১টি জেলার মানুষ নয়, সারা বাংলাদেশ পাচ্ছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী একদিনে জাতিকে উপহার দিয়েছেন শত সেতু।

দেশের প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। টানেল চালু হলে দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। টানেল ঘিরে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার জেলার যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগও শুরু হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার। প্রথমে টানেল নির্মাণের খরচ ধরা হয় ৮ হাজার ৪৪৬.৬৩ কোটি টাকা। পরে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪.৪২ কোটি টাকা। এবার ব্যয় বাড়ায় প্রকল্পের খরচ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯.৭১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ