শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......সহকারী সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সহকারী সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ষ্টাফরিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

ঢাকার সাভারে প্রায় ৬০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং এতে সহায়তার অভিযোগে মামলা হয়েছে। তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানায় ওই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার আসামিরা হলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জসিম উদ্দিন হায়দার, ভূমি কর্মকর্তা শৈলেশ চন্দ্র দাস ও আজগর আলী এবং আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার আবদুল কাদের ও আলী আমজাদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জসিম উদ্দিন হায়দার ঢাকার সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় সাভার উপজেলার ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা ছিলেন শৈলেশ চন্দ্র দাস ও আজগর আলী (বর্তমানে রাজধানীর গুলশান সার্কেলের গোবিন্দপুর ও সেনানিবাস এলাকায় কর্মরত)। এই তিন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে সাভারের বাসাইদ মৌজার প্রায় ১১ একর সরকারি সম্পত্তি দখল করেন আবদুল কাদের ও আলী আমজাদ। ওই সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ৬০ কোটি টাকা।

মামলার বিবরণে বলা হয়, অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পেরেছে, বাসাইদ মৌজায় প্রায় ১৩ একর সরকারি সম্পত্তি ছিল। এর মধ্যে প্রায় ১১ একর সম্পত্তি নিজের দাবি করে টঙ্গাবাড়ির মালু মাতবর ঢাকার জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। ১৯৬৯ সালে ওই মামলায় সরকারের বিপক্ষে রায় হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে আপিল কর্তৃপক্ষ আগের রায় বহাল রাখেন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আর আপিল করা হয়নি। আপিল না করায় সরকারি সম্পত্তি বেহাত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। রায়ের ১০ বছর পর মালু মাতবর মারা গেলে তাঁর ছেলে আবদুল হালিম, আবদুল হাকিম, আবদুল কাদের ও আলী আমজাদ তাঁদের নামে ওই সম্পত্তির খাজনা গ্রহণের জন্য ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নাম ও স্বাক্ষরবিহীন এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবেদনকারীদের পক্ষে রেকর্ড সংশোধন করে খাজনা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলায় আরও বলা হয়, খাজনা গ্রহণের আবেদনের পর আবদুল হালিম ও আবদুল হাকিম মারা গেলে জমির মালিক দাবিদার তাঁদের ভাই আবদুল কাদের ও আলী আমজাদ নাম-স্বাক্ষরবিহীন মিথ্যা মামলা, মামলার আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আদেশ সৃষ্টি করে ভূমি কার্যালয়ের তৎকালীন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে নাম ও স্বাক্ষরবিহীন নামজারি পর্চা ও ডিসিআরের মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ দেখিয়ে ওই ১১ একর সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন।

মামলায় আরও বলা হয়, ২০০৮ সালে সাভারের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জসিম উদ্দিন হায়দার সরকারি সম্পত্তির মালিকানার বিষয়টি যাচাই না করে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়াই নিলামি সম্পত্তি থেকে ২৬ শতাংশ জমি নামজারি করে দেন।

যোগাযোগ করা হলে জসিম উদ্দিন হায়দার  বলেন, ‘আগের ধারাবাহিকতায় কাগজপত্র সঠিক পেয়ে আমি ২৬ শতাংশ জমির নামজারি করে দিই। আমার বিরুদ্ধে আর্থিক লাভবান হওয়ার অভিযোগসহ অন্যকে লাভবান করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগ অমূলক।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ