বুধবার, মে ৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়সংসদে যেসব দলের প্রতিনিধি আছে তাদের নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে...

সংসদে যেসব দলের প্রতিনিধি আছে তাদের নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

ষ্টাফরিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদে যেসব দলের প্রতিনিধি আছে তাদের নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে। যেন এ নিয়ে কারো মনে কোনো সন্দেহ সৃষ্টি না হয়। সবাই যেন দেখতে পারে নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে। শুক্রবার রাতে গণভবনে জাতীয় পার্টি-জেপির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। রাত ৮টায় শুরু হওয়া বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটা জায়গা থেকে শুরু করতে চাই আর তা হলো আগামী প্রজন্মের জন্য। তাদের যেন কষ্ট না হয়। একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে যেন ক্ষমতার পরিবর্তন হয়।’ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান সম্মত নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা, অসাংবিধানিক সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা এবং বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে তার ফোনালাপের প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
সাংবিধানিক পন্থায় নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘আমরা আগামীতে সংবিধানসম্মত ভাবে নির্বাচন করতে চাই। বাংলাদেশের আমরা এটা শুরু করতে চাই।’ তিনি জানান, ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা দেয়ার পর থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আড়াইশর বেশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে বিএনপি বিচারপতিদের বয়স বৃদ্ধি করে বিচারবিভাগকে দলীয়করণ করার চেষ্টা করে বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাকেও দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়। আর, আমাকে দেশে ফিরতে দেয় নাই। আর যেনো কোনো অসাংবিধানিক সরকার যেনো ক্ষমতা দখল করতে না পারে- তাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাই।’ জেপি’র সভাপতি আনোয়ার হোসন মঞ্জু এবং মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়। বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাকে দাওয়াত দিলাম। আর, জবাবটা কি পেলাম। আপনাদের জানা আছে।’
 ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ না নিলে হরতাল দেওয়ার বিরোধীদলের ঘোষণার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ যাতে কষ্ট না পায়- সেজন্য উপযাজক হয়ে তাকে ফোন করলাম। উনি মানলেন না। আমি ওনাকে সকালেই ফোন করতাম। আমি জানতাম, উনি একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন।’
শেখ হাসিনা একই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাধারণ কেউ ফোন করলে, যাকে ফোন করে সে-ই রিটার্ন করে। তারপর, আমি আমরা এডিসিকে যোগাযোগ করতে বললাম। উনি নাকি রাত ৯টার আগে কথাই বলতে পারবেন না।’ যে ঝারি-টারি খেলাম, সেটা বলতে চাই না। কে তর্ক করতে যাবে। আমার তর্ক করার প্রবৃত্তি নাই।’
আরও পড়ুন

সর্বশেষ