শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদটপপিএইচডি জালিয়াতি রোধে নীতিমালা করতে কমিটি গঠনে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

পিএইচডি জালিয়াতি রোধে নীতিমালা করতে কমিটি গঠনে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভ (থিসিস) জালিয়াতি রোধে নীতিমালা করতে সাত সদস্যের কমিটি গঠনে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনকারী সাতজন শিক্ষকের নাম দাখিল করার পর রোববার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রিটের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী ছিলেন মো. মনিরুজ্জামান (লিংকন)।

কমিটির সদস্যরা হলেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড.  মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারপারসন ড. অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মো. তারেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাজনীন ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর।

পরে তুষার কান্তি রায় জানান, এ কমিটির যাবতীয় কার্যক্রমে সহায়তা করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশন। তিন মাসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ শিরোনামে ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করে আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন করা হয়, তা খতিয়ে দেখে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ এ বিষয়ে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও মঞ্জুরী কমিশন আদালতে প্রতিবেদন দেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ