ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের সার্কুলার জারি করতে পারে কিনা সে বিষয়ে মতামত দিতে চারজনকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী।
এর রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের রিটকারির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
শুনানিকালে রিটকারীর আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হলো প্রাইভেট ব্যাংকের রেগুলেটরি অথরিটি। তারা ম্যানেজমেন্ট পলিসিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কিন্তু বেতন নির্ধারণ করে দিতে পারে না। একেকটা প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন বেতন কাঠামো রয়েছে। এখানে তারা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এখন যদি ব্যাংকিং সেক্টরে বাংলাদেশ ব্যাংক বেতন নির্ধারণে হস্তক্ষেপ করে তাহলে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান, রিয়েল স্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাহলে তার উপর এর প্রভাব পড়বে।
এর আগে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ও বিনিয়োগকারি ফরহাদ বিন হোসেন।
এর আগে ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করে গত ২০ জানুয়ারি এবং পরবর্তীতে সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে। পরে ওই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রিট দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন ২৮ হাজার টাকা বেঁধে দিয়ে গত ২০ জানুয়ারি পরে সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
