শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও ঋণখেলাপি নয়

৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও ঋণখেলাপি নয়

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও তাদেরকে খেলাপির তালিকায় দেখানো যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের কোনো কিস্তি পরিশোধ না করলেও কোনো ঋণগ্রহীতাকে খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। একই সময়ের মধ্যে ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর কোনোরকম দণ্ড, সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।

বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ঋণ শ্রেণিকরণের বিষয়ে এ বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ঋণগ্রহীতার ব্যবসায় কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধ সূচি নির্ধারণ ও শ্রেণিকরণের এই নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি ঋণ বা বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ওই ঋণ বা বিনিয়োগ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণ বা বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় মেয়াদি ঋণ (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) কিস্তি পরিশোধ এবং চলতি ও তলবি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক যৌক্তিক রিবেট সুবিধা দিতে পারবে। পাশাপাশি কিস্তি পরিশোধের জন্য বর্ধিত সময়ের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে পরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ