মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেন : প্রধানমন্ত্রী

নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর নৌ-কর্মকর্তা ও নাবিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন। চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে বিকাল সোয়া ৫টায় এ ভাষণ প্রদান করেন।

 এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং কমডোর কমান্ডিং চট্টগ্রাম কমডোর এম আখতার হাবীব তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে নৌবাহিনীর একটি চৌকস দল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনারপ্রদান করে।

নৌসদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টির কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত বহুমুখী পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে নৌবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা দেশের বিশাল জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উত্তাল সমুদ্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করে চলেছে। দেশমাতৃকার কল্যাণে একনিষ্ঠতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি প্রতিটি নৌসদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনাম, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের নিকট ভাবমূর্তি উজ্জল করায় তিনি নৌসদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।  শেখ হাসিনা আরো বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় নৌবাহিনীর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে ধাপে ধাপে নৌকমান্ড সম্প্রসারণ, পদবিসমূহের আপগ্রেডেশান, জনবল বৃদ্ধি, নৌ ঘাঁটি স্থাপন, পুরাতন জাহাজ প্রতিস্থাপন ও নতুন জাহাজ সংযোজনসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আমাদের সরকার  উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগকালীন সহায়তা প্রদান এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচল সক্ষম একটি অত্যাধুনিক ডেডিকেটেড জাহাজ সংযোজনের জন্য নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেছে।  বক্তব্য শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সকল স্তরের নৌ-সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এ সময় কয়েকজন নৌসদস্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কিছু বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তা শোনেন এবং তার অভিমত ব্যক্ত করেন।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে নৌবাহিনী প্রধান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

 বক্তৃতায় নৌ-বাহিনী প্রধান বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের সময়ে গত সাড়ে চার বছরে নৌবাহিনীতে ১৬টি যুদ্ধজাহাজ, দুইটি হেলিকপ্টার এবং দুইটি টহল বিমান সংযোজিত হয়েছে এবং গঠন করা হয়েছে স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস্‌। সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান মৎস্য সম্পদ ছাড়াও তেল-গ্যাসসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ পদার্থ আহরণের জন্য একটি ওশানোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল সংগ্রহ করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নৌবাহিনীতে ২টি সাবমেরিন সংযোজনের নীতিগত অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।

সম্প্রতি নৌবাহিনীর জেসিওসদের পদবির মান ২য় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণী এবং পিওসদের ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত করার প্রস্তাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দেয়ায় নৌ-সদস্যদের মনোবল বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এছাড়া নৌ-বাহিনীর আবাসন উন্নয়নসহ নৌ-সদস্যদের সার্বিক কল্যাণে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিপুল সংখ্যক নৌ-সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ