শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েসাহারা খাতুন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন

সাহারা খাতুন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাহারা খাতুনের ‍মৃত্যুকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, বিশেষ করে নারী রাজনীতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে অভিহিত করেছেন তারা

বৃহস্পতিবার ৯ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহারা খাতুন। তার মৃত্যুতে আরও শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াসহ অন্যরা।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সাহারা খাতুন ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে তিনি গণতন্ত্রের বিকাশসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিককে হারালো।

গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সবসময় আইনি সহায়তা ছাড়াও সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে গেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারালো। আমি হারালাম একজন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এদিকে, আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান জানিয়েছেন, সাহারা খাতুনের মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হবে। জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে জানানো হবে।

শারীকিভাবে অসুস্থ বোধ করায় ২ জুন দিবাগত রাতে সাহারা খাতুনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় কোভিড নেগেটিভ এলেও লিভারসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে তার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১৯ জুন ওই হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এরপর আর সেখানে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি দেখা যায়নি তার।

এর মধ্যে আইসিইউতে রেখেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ৬ জুলাই বিকেলে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশটিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেও চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সাহারা খাতুন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ