জানা গেছে, ফরাছত আলী মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক এক পরিচালককে বেনামে ঋণ দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এমনকি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ওই পরিচালক এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক না হয়েও পর্ষদ সভায় অংশ নিয়েছেন। ফরাছত আলী তাকে এসব কাজে সহায়তা করেছেন। এসব কারণে ফরাছত আলীকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের যে পরিচালককে ফরাছত আলী বেআইনি সুবিধা দিয়েছেন, তাকে গত জানুয়ারিতে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হয় ব্যাংক খাতের বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায়।
প্রসঙ্গত, অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেন। এরপর পরিচালনা পর্ষদের সব কমিটি নতুনভাবে গঠন করা হয়। ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাছত আলীকে সরিয়ে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তমাল এসএম পারভেজকে। একই বছরের ৬ ডিসেম্বর অনিয়ম ও দুর্নীতির ১০টি গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নতুন প্রজন্মের এ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেওয়ান মুজিবুর রহমানকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরেই ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়।