চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। রোববার সকাল ১১টায় মো. খোকন নামের এক ব্যক্তির আবেদন জমা নেওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ও উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ নুরুল আলম। এসময় পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসান ও মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী গত ২২ জানুয়ারি জাতীয়ভাবে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মনসুরাবাদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে গত ২৩ মার্চ ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়। ৩০ মার্চ পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কার্যক্রম উদ্বোধনের কথা থাকলেও করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন কর্মসূচি বাতিল করা হয়। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) বইয়ে প্রথমে তথ্য সম্বলিত দুটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে বরং পালিমারের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ই-পাসপোর্টের ডাটাবেজে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ সংরক্ষিত থাকবে। এয়ারপোর্টে পাসপোর্ট বের করা লাগবে না। এরমধ্যেও এমআরপি পাসপোর্ট যেগুলো বিতরণ হয়েছে সেগুলো মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। তবে এখন থেকে ই-পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ করা হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তার পিতা-মাতার পরিচয়পত্র নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
প্রধান অতিথি লে. কর্নেল মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ই-পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বের বড় বড় এয়ারপোর্টগুলো দিয়ে পার হওয়া আরো সহজ হবে। তাছাড়া পাসপোর্ট জালিয়াতিও রোধ হবে। যারাই ই-পাসপোর্টের আওতায় তাদের তথ্য মূল সার্ভারে যুক্ত হবে। আঙুলের চাপ কিংবা চোখের আইরিশ স্ক্যানিং করেই ইমিগ্রেশন করা যাবে। এখন থেকে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের ই-পাসপোর্ট সুবিধা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
