রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বিবর্ণ ঈদ উদযাপন

বিবর্ণ ঈদ উদযাপন

একজন আরেকজন থেকে তিন ফুট দূরত্বে থেকে নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেই বাসায় ফিরতে হয়েছে। দেখা যায়নি কোলাকুলি, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করার কোনো দৃশ্য। এবারে ঈদ তাই কোলাকুলিহীন অনেকটা বিবর্ণ !

২৫ মে বিবর্ণ এমনই এক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানী দেশের মসজিদে মসজিদে।

এবার মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নিরাপদ দূরত্ব ও সামাজিক সুরক্ষা মেনেই নামাজ পড়েছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে লোকেরা দ্রুত ঘরে ফিরে গেছেন। অনেকেই ঘরে বসেই নামাজ পড়েছেন। ঈদ জামাতে দেখা যায়নি কোন শিশুকেও।

নামাজ শেষে কোলাকুলি না করে এমন করে বাসায় ফিরে আসার ঘটনা নিজের ৫০ বছরের জীবনে কখনো ঘটেনি বলেই আফসোস করেই জানালেন উত্তর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা হাজী আব্দুস সালাম।

ঈদে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করে
তিনি বলেন, ‘জীবদ্দশায় এমনভাবে ঈদের নামাজ পড়তে হবে কখনো ভাবিনি। প্রতি বছর দুই ঈদে আমরা নামাজ পড়ে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করি, মুসাফা করি। আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাই। আর এখন কোনোরকম নামাজ পড়ে দ্রুত বাসায় চলে যাচ্ছি। ঘরে নাতি-নাতনি আছে। মনের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। আল্লাহ আমাদের এই সকল বিপদ থেকে মুক্ত করুক নামাজে এই প্রার্থনা করেছি।

মহামারি করোনার কারণেই পাল্টে গেছে চিরচেনা সব দৃশ্য। পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর। এবার করোনায় যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের বাড়িতে আনন্দের পরিবর্তে বাজবে কষ্টের সুর। এছাড়া ঘরে ঘরে আইসোলেশনে রয়েছেন অনেকে। সন্তান যেতে পারছেন না বাবা- মায়ের কাছে, বাবা-মা যেতে পারবেন না সন্তানের কাছে।

এবার ঈদের দিনে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশীর বাড়িতে যাতায়াত ও খাওয়া দাওয়ার চিরচেনা রেওয়াজ পালিত হচ্ছে না। নতুন কাপড়ও পড়া হয়নি অনেকের। সব মিলিয়ে এমনই এক অদ্ভূত পরিবেশে উৎযাপিত হচ্ছে এবারের ঈদুল ফিতর।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ