পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় আজগর আলী হাসপাতালের ২২ জন চিকিৎসক ও সাপোর্টিং স্টাফ (নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়া) মিলিয়ে ৫০ জনেরও বেশি কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটি (এফডিএসআর)।
সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, বেসরকারি ওই হাসপাতালে একযোগে এত সংখ্যক চিকিৎসক ও স্টাফের করোনা আক্রান্তের সংবাদে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। হাসপাতালটি এখনও চালু থাকায় সেখানকার অন্যান্য চিকিৎসক, স্টাফ ও রোগীরা করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছেন।
আজগর আলী হাসপাতালের করোনায় আক্রান্ত ২২ জন চিকিৎসকের নামের তালিকা আমাদের কাছে আছে, বলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, এই ২২ জন পরীক্ষা করিয়েছেন। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আক্রান্ত চিকিৎসক ও সাপোর্টিং স্টাফের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। আমরা মনে করছি, এভাবে হাসপাতাল চালু রাখা অত্যন্ত বিপদজনক।
ওই হাসপাতালের করোনায় আক্রান্ত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয় । নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমি তিন দিন আগেও হাসপাতালে ডিউটি করেছি। পরে গায়ে জ্বর আসায় করোনা পরীক্ষা করাই। এতে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তারপর থেকে আর হাসপাতালে যাইনি। বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটি নারায়ণগঞ্জের কাছাকাছি হওয়ায়, সেখান থেকে প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসে। ধারণা করছি, এমন সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের মাধ্যমেই আমিসহ অন্যরা আক্রান্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে আজগর আলী হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিস) ফারাহ নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি নিজেকে হাসপাতালের ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজগর আলী হাসপাতালের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন তথ্য আমার জানা নেই। জানতে হলে আপনি হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নেন।