বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদটপবঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে...

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এ হত্যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। সকল ষড়যন্ত্র কাটিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা-২০১৯ অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন বাজারকে অশান্ত করে তুলছে। দেশকে অচল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করছে। বড় বড় দেশে এ প্রবণতাগুলো নেই। কিন্তু আমাদের দেশে এগুলো বিদ্যমান।

তিনি বলেন, অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গেছে। এখনও চলছে, এক ধরনের অসাধু ব্যসায়ীরা এটা করে। অধিক মুনাফা করার জন্য তারা জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করতে চায়। ব্যবসা অবশ্যই করবে, লাভ করবে, তবে সেটা যৌক্তিক হতে হবে। ব্যবসায়ীদের অবশ্যই সুবিধা দেবে সরকার। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। গতকালও ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্য অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু জনগণকে জিম্মি করে অধিক মুনাফা করা তো ব্যবসা নয়। চামড়া শিল্পের কাঁচামালে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু দেশীয় চামড়াজাত পণ্যের অনুকূলে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের ছাড়পত্র বা সার্টিফিকেশন না থাকায় আমাদের রপ্তানি আশানুরূপহারে বাড়ছে না। এ বাস্তবতা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সকল ট্যানারি কারখানা সাভারে পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরিতে স্থানান্তর করেছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে অচল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা অর্জন করছে। বড় বড় দেশে এ প্রবণতাগুলো নেই। কিন্তু আমাদের দেশে এগুলো বিদ্যমান। এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা এটা করে। অধিক মুনাফা করার জন্য তারা জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করতে চায়। দেশে একটি টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও কমপ্লায়েন্ট চামড়া শিল্পখাত গড়ে তোলাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের সব ধরণের নীতি সহয়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের অর্থও ইতোমধ্যে উদ্যোক্তাদের দেয়া হয়েছে। এরপরও কতিপয় অসাধু ট্যানারি মালিক কমপ্লায়েন্ট কারখানা স্থাপনে গড়িমসি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, বিটিএ চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ