শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবছর পাসের হার ২.৬১ শতাংশ বেড়েছে

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবছর পাসের হার ২.৬১ শতাংশ বেড়েছে

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবছর পাসের হার ২.৬১ শতাংশ বেড়েছে। তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭১০ জন কমেছে। শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির ১৯০ কেন্দ্রে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে পাসের হার ৭৮.১১ শতাংশ। গত বছর যা ৭৫.৫০ শতাংশ ছিলো।

অন্যদিকে গত বছর ৮ হাজার ৯৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও এবার তা কমে ৭ হাজার ৩ ৯৩ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার বাড়লেও জিপিএ-৫ কমেছে ৭০১টি। ৬ মে দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান ফলাফল ঘোষণা করেন।

মো. মাহবুব হাসান বলেন, এবার পাসের হার ৭৮.১১ শতাংশ হলেও এর মধ্যে ছাত্র পাসের হার ৭৮.৪৩ এবং ছাত্রী পাসের হার ৭৭.৮৩। ফলে পাসের দিক দিয়ে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ০.৬০ শতাংশ এগিয়ে আছে। তিনি বলেন, এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার যথাক্রমে ৫.৬৬, ১.৪৬ এবং ১.৯৯ শতাংশ বেড়ে ৬৫.৭৯, ৯১.৪৬ এবং ৮০.৮৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত বছর এ হার ছিলো যথাক্রমে ৯০.০০, ৬০.১৩ এবং ৭৮.৮৬ শতাংশ।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, বিগত বছরগুলোতে তিন পার্বত্য জেলায় পাসের হার কম থাকলেও এবার শিক্ষাবোর্ডের বিশেষ নজরদারির কারণে সেখানে পাসের বেড়েছে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানে গত বছর পাসের হার যথাক্রমে ৬২.৭২, ৫০.৫২ ও ৫৭.৯২ শতাংশ থাকলেও এবার তা বেড়ে ৬৮.৭৫, ৬৫.৪৬ এবং ৬৫.৩৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

‘তিন পার্বত্য জেলায় পাসের হার বাড়লেও চট্টগ্রাম নগরে এবার পাসের হার ০.৬১ শতাংশ কমেছে। বিগত বছরগুলোতে এ ট্রেন্ড দেখা না গেলেও এবার কেনো এ রকম হলো- তা খতিয়ে দেখা হবে। যোগ করেন শিক্ষাবোর্ডের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মো. মাহবুব হাসান বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবছর পাসের হার শতভাগ- এমন স্কুলের সংখ্যা ৩০টি। গত বছরে এরকম স্কুলের সংখ্যা ছিলো ২৭টি। তবে পাসের হার শূন্য- এমন কোনো স্কুল নেই। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর শওকত আলম, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হকসহ বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ