শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপটিয়ায় উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন ১৯ প্রার্থী

পটিয়ায় উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন ১৯ প্রার্থী

তৃতীয় ধাপের ভোটে চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলা নির্বাচনে ১৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ৫ জন লড়বেন চেয়ারম্যান পদে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম।

মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার। মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই ৫ মে, ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে, আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট হবে ২৯ মে স্বচ্ছ ব্যালটের মাধ্যমে।

এদিকে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন-চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ নুরুল আবসার।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তারা হলেন- যুবলীগ নেতা আবু সালেহ মুহাম্মদ শাহরিয়ার শাহরু, আওয়ামী লীগ নেতা আশীষ তালুকদার, ডা. এমদাদুল হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা ঝুলন দত্ত, মোজাম্মেল হোসেন রাজধন, জেলা যুবলীগ নেতা সাইফুল হাসান টিটু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ বেলাল।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তারা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদা বেগম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম জলি, কানিজ ফাতেমা শাওন, নুর আয়েশা বেগম, সুমি দে।

এ ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

নতুন নির্বাচনি বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক জমা দিতে হয়েছে, উল্লেখ করতে হয়েছে টিআইএন নম্বরও।

নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। এক্ষেত্রে প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো।

সংশোধিত বিধিমালায় নির্বাচনী ব্যয়েও পরিবর্তন এসেছে। আগের আইনে ১ লাখ ভোটারের জন্য প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় করতে পারেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ লাখ এক থেকে ২ লাখ ভোটারের জন্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ২ লাখের বেশি ভোটার সম্বলিত উপজেলার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন।

নতুন উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং ‘মহিলা সদস্য’ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। প্রচার-প্রচারণার আওতায় এবার ডিজিটাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সন্নিবেশ করা হয়েছে।

অপরদিকে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধানও শিথিল করেছে ইসি। এতদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক সই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো। এটি এখন একেবারেই তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভোটারদের সমর্থনসূচক সই লাগবে না।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে ১২৮ টি কেন্দ্রে পটিয়ার ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৮ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৬ জন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ