শুক্রবার, নভেম্বর ৮, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯শ’ কোটি টাকার তহবিল

ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯শ’ কোটি টাকার তহবিল

পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯শ’ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খবর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরী। এর আগে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এর বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

এস কে সূর বলেন, এই তহবিলে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন ধাপে ৯০০ কোটি টাকা জোগান দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের হিসাবে যে মুনাফা জমা করে সেখান থেকে এ অর্থ দেওয়া হবে। তবে এটি বাজেটের মাধ্যমে আসবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এর কোনো দায়দায়িত্ব নেবে না। এর দায়দায়িত্ব নিতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি)।

তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের  প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তহবিল গঠনের বিষয়ে এই উপায় উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রতিবছর সরকারকে দেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুনাফার অংশ থেকেই এই অর্থ সরবরাহ করা হবে। তবে এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি। সরকারই এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তহবিলটি কীভাবে পরিচালিত হবে, তা পরে সরকার নির্ধারণ করবে।

ডেপুটি গভর্নর বলেন, শেয়ারবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ সুবিধা কার্যকর করতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের বিষয়ে একটি উপায় উদ্ভাবনের কথা বলেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতি, টাকার সরবরাহ, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় এই তহবিল গঠনে অর্থ জোগানের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা সরকারকে অবহিত করা হবে। সরকারই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, জানা গেছে, সুদ মওকুফ সুবিধা কার্যকর করতে বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ‘উপায় উদ্ভাবনের’ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠায়।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে নয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন সময় এর প্রবৃদ্ধির জন্য নীতিমালা দিয়েছে।

ব্যাংকের উচ্চ সুদের হারে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি ঠিক। কিছুটা প্রভাব বিনিয়োগে পড়েছে। তবে গত সপ্তাহের  প্রতিবেদনের তথ্য থেকে আমরা দেখেছে সুদের হার এক থেকে দেড় শতাংশ কমেছে।

ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার ব্যাপারে বলেন, বর্তমানে স্প্রেড ৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশের কাছাকাছি। ব্যাংকগুলোর স্প্রেড রাতারাতি কমবে না। একটু সময় লাগবে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ