” আমাদের দ্বারা, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য” স্লোগান নিয়ে সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করলেন চবি’র ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এবং “দ্যা এলিনা” গ্রুপের সহায়তায় ৪ই মার্চ,২০১৯ইং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে আয়োজিত হলো “সেইভ ইনভায়রনমেন্ট, ক্লিন সেন্টমার্টিন” নামক কর্মসূচী। কর্মসূচীর স্লোগান ছিল “আমাদের দ্বারা, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য”। পরিবেশ রক্ষার্থে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই ছিল কর্মসূচীর প্রধান উদেশ্য।
কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী ২২ তম ব্যাচের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী প্রায় ৯০-১১৫ কেজির মত বর্জ্য বিশেষ করে প্ল্যাস্টিক বোতল, চিপস এর প্যাকেট, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট, পলেথিন ইত্যাদি পরিষ্কার করে। তাদের ভাষ্যমতে “আমদের এই গুটি কয়েকের পক্ষে সেন্টমার্টিনে জমে থাকা এত ময়লা পরিষ্কার করতে পারাটা সম্ভবপর নয়, তবে মানুষের মাঝে সামান্য হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আর এ বিশ্বাস থেকেই আমাদের এই কর্মসূচী।” উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দের মতে, “এসব খন্ডকালীন ইভেন্ট হয়তো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে কিন্তু পরিবেশ রক্ষার্থে দৃর্ঘমেয়াদী কোন টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে, বীচের সৌন্দর্য ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে জোয়ারের সময় বীচে পড়ে থাকা ময়লার স্তুপ মিশে যাচ্ছে সমদ্রের পানিতে। কিংবা সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন প্রন্তে বিক্ষিপ্ত রূপ ধারণ করে। ফলে পরিবেশ নষ্ট হবার পাশাপাশি সামুদ্রিক জীব বৈচিত্রের উপর মারাত্মক প্রাভাব বিস্তার করে। এসব বর্জ্য সেন্টমার্টিনের জলজ বাস্তুসংস্থানের প্রাণিকুল ও জীববৈচিত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। একসময়ে স্থানীয় জেলেরা খুব সহজেই সমুদ্রের তীরবর্তী পানি থেকে প্রচুর মাছ আরোহণ করতে পারতেন কিন্তু তাদের ভাষ্যমতে এসব বর্জ্য সমূহের ফলে তীরবর্তী স্থান থেকে মাছ আরোহণ করার সম্ভবনা অনেক কমে গেছে।
আশার কথা, বর্তমানে প্রায়শই পর্যটক দলবদ্ধ হয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করছে। সামাজিক যোগাযোগে ব্যপক প্রসারের ফলে অনেকেই পরিবেশ রক্ষার্থে কাযে এগিয়ে আসছে। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন করতে প্রয়োজন একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করা।