রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদটপজনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবার ধন্যবাদ, বড় ধরনের তামাশা: বিএনপি

জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবার ধন্যবাদ, বড় ধরনের তামাশা: বিএনপি

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার সম্পূর্ণরুপে কেড়ে নিয়ে জনগণকেই আবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন, এটা জনগণের সঙ্গে বড় ধরনের তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করেন না, সেজন্য তার এই ভাষণের প্রতি জনগণের কোনো রকম আস্থা নেই। রিজভী বলেন, জাতীয় ঐক্যের ডাক না দিয়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ডাক দেওয়া উচিত ছিলো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নিজেরটা নিজে বলেছেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি একটা ‍অনুষ্ঠানে আছি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে পারিনি। এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবো না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু রাতের আঁধারে ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারার বিষয়টি বলেননি। আর সারাদিন ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট কাটা, বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে না দেওয়া, ভোটের আগে বিরোধী পক্ষকে পোস্টার লাগাতে না দেওয়া, হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার ও মামলা হামলার বিষয়টিও ভাষণে উল্লেখ করা উচিত ছিলো।

জাতীয় ঐক্যের ডাকের আগে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে করা যায় তা নিয়ে সংলাপ করার আহ্বান জানান জাসদের আব্দুল মালেক রতন। নাগরিক ঐক্য’র আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ব্যস্ততার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে পারেননি বলে জানান।

২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানান টানা তিনবারের (মোট চারবার) প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দল এবং নৌকার পক্ষে ও বিপক্ষের ভোটারদেরও ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ