মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনশিক্ষা খাতে চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ প্রকল্প নিতে উদ্যোগী হবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা খাতে চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ প্রকল্প নিতে উদ্যোগী হবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা খাতে চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ প্রকল্প নিতে উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে প্রথম বৈঠকে তিনি একথা বলেন। চশমাহিলের নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সমস্যা অনেক। কিন্তু সম্পদের রয়েছে সীমাবদ্ধতা। তাই আমাদের দুর্বলতাও থাকবে। যে অপ্রতুলতার মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ এ পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয় বলতে হবে। দেশ হিসেবে এ পর্যন্ত আমাদের যে অর্জন, শিক্ষার মান না বাড়লে এর কিছুই অর্জন হতো বলে আমার মনে হয় না।

Nofal ctgউপমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমরা এখনো শিখছি, জানছি। দায়িত্ব নিয়েই আমরা যদি বলি, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জাপান বা ফিনল্যান্ডের কাতারে নিয়ে যাবো, তাহলে সেটি হবে একটি অপলাপ। আমরা এ মিথ্যে আশ্বাস দিতে চাই না। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের দেশের অবস্থান এখনো উন্নয়নশীল, আমরা উন্নত রাষ্ট্র হতে পারিনি। শিক্ষা খাত দেশের বৃহৎ একটি খাত। জিডিপির ২ শতাংশ এ খাতে খরচ হয়। যদিও এ খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগামী বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে জোর প্রচেষ্টা চালাবো।
বৈঠকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম, মাউশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসান, সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আইয়ূব ভূইয়া, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ঝর্ণা খানম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর শওকত আলম, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর আবু তাহের, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর-চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসমত জাহান, মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইতিকণা চৌধুরী, কলজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ, সরকারি মুসলিম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক হেনরী, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলম হোসাইনী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিরুল কায়সার। শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম তার বক্তব্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চরম শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন। চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা-সংকটের পাশাপাশি বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। এছাড়াও নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো তুলে ধরে বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

শিক্ষা কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পর সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন- আপনাদের কাছ থেকে বিষয়গুলো, সমস্যাগুলো জেনে নিলাম। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করবো। একশটি সমস্যা জানলে অন্তত ৫টি সমাধান আসবে। তাহলে ৫টি সমস্যা কিন্তু কমে গেলো। জানলাম, চট্টগ্রামে বিশেষ কোন প্রকল্প নেয়া হয়নি। চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ প্রকল্প নিতে আমি উদ্যোগী হবো। পাশাপাশি বিদ্যমান স্কুলগুলোতে অবকাঠামো সমপ্রসারণের মাধ্যমে আরো বেশি ছাত্র-ছাত্রী সংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা, আমরা দেখবো। শিক্ষায় যে অর্জনটা এসেছে, সেটি ধরেই আমরা এগিয়ে যাবো। এর জন্য সকলের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ