বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদটপনির্বাচন চাইলে অবশ্যই বিএনপিকে সংঘাতের পথ পরিহার করতে হবে: ওবায়দুল কাদের

নির্বাচন চাইলে অবশ্যই বিএনপিকে সংঘাতের পথ পরিহার করতে হবে: ওবায়দুল কাদের

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতের ঘটনাকে ‌‘টেস্ট কেস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন চাইলে অবশ্যই বিএনপিকে সংঘাতের পথ পরিহার করতে হবে। বিএনপি নির্বাচনের জন্য নয়, বরং নির্বাচন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা নির্বাচন বানচালের জন্য ব্লু-প্রিন্ট করে আসছিল।‌‌ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি একজন সজ্জন ব্যক্তি। এখন দেখছি তিনিও মিথ্যা কথা বলেন। নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়িতে ছাত্রলীগ আগুন দিয়েছে বলে যে অভিযোগ তিনি করেছেন, সেটা শুধু দেশবাসীই নয়, বিএনপির লোকজনও বিশ্বাস করবে না। কোনো অপশক্তিই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। কারাগারে বন্দি রেখে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না‌, খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া বন্দি আছেন আদালতের রায়ের মাধ্যমে, এখানে সরকারের কিছু করার নেই।

ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়কে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে মনোনয়ন কিনেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা এবং মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুজন মারা গেছেন—সে ঘটনায় পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন কোনো ভূমিকা নেয়নি।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওই ঘটনা আর নয়াপল্টনের ঘটনা এক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার ওই ঘটনা আমরা তদন্ত করছি। এ নিয়ে প্রশ্ন করা অবান্তর।

বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নেতাকর্মীদের পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে বেলা সাড়ে ১১টার পর নয়াপল্টনের সামনের রাস্তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

তখন নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। পুলিশ সাঁজোয়া যান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে। মাঝেমধ্যে গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারকেই দায়ী করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকার নিজে এই পরিবেশটা নষ্ট করেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ