ঐক্য চাইলেও না হওয়ার জন্য কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদেরই দায়ী করেছে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা। শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা আসার আধা ঘণ্টার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান জানান বি চৌধুরী। বিকল্প ধারার সভাপতির ঢাকার বারিধারার বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, তারা যুক্ত হওয়ার পরও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বিভিন্ন কর্মসূচি এবং বক্তব্যের বিষয়ে লুকোচুরি করা হচ্ছিল। বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য যদি হয় বিএনপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ক্ষমতায় বসানো, তাহলে তাদের সাথে আলোচনায় আমরা নাই।’ তিনি বলেন, যুক্তফ্রন্ট এখনও আছে। সেক্ষেত্রে জোট শরিক অন্য দুই দলের নেতা রব, মান্নার প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হলে মাহি বলেন, ‘তারা সেখানে পরকীয়া করতে গেছেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে ঐক্য প্রক্রিয়া চলছে, তার সাথে আমরা নেই।
বি চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কামাল হোসেন প্রথমে গণফোরাম নিয়ে পরে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের সঙ্গে আসতে চান বলে যখন জানালেন আমরা আনন্দিত হলাম। বিএনপির প্রস্তাব যখন আসল, বিএনপির মহাসচিব এক বছরের বেশি আগে থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। নিজেও আমাদের সঙ্গে ৫/৬ বার দেখা করেছেন। বিএনপিকে দুটো শর্ত দিয়েছিলেন বলে জানান বি চৌধুরী। তার একটি হল স্বাধীনতাবিরোধী কোনো শক্তিকে না রাখা এবং কোনো দলের একক আধিপত্য না থাকা।
কিন্তু সেই শর্ত মানা হয়নি। আর তা ছাড়া জাতীয় ঐক্যে’র রূপরেখায় ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রস্তাাব না থাকায় আমরা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেই নি। এই ঐক্যে একটি দলের প্রাধান্য রয়েছে। আমরা চেয়েছি ক্ষমতার ভারসাম্য। বি. চৌধুরী বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম যে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতে হবে। জাতীয় ঐক্যের রূপরেখায় সেটির উল্লেখ থাকতে হবে। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় হচ্ছে-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্য দিল তার কোথাও ক্ষমতার ভারসাম্য খুঁজে পাবেন না। সেখানে একটি দলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা এই জোট থেকে সরে এসেছি।