কোটা সংস্কার বিষয়ে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ নেওয়া হবে। উচ্চ আদালত যে নির্দেশনা প্রদান করবেন, সরকার সে ব্যবস্থাই গ্রহণ করবে। তবে আমরা (কমিটি) কোটা সম্পূর্ণ উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিউল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে কোটা বিষয়ে কিছু বিষয় অস্পষ্ট মনে হচ্ছে, সেসব কারণে এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের পরামর্শ নেওয়া হবে। উচ্চ আদালত যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখতে বলেন, তাহলে তা রাখা হবে, অন্যথায় তা বাতিল করা হবে। সব ধরনের কোটা বাতিল করা হলে দেশের তুলনামূলক অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, ‘দেশে এখন কোনো অনগ্রসর জাতি নেই। সবাই অগ্রসর জাতির অন্তর্ভুক্ত। কোটা সংস্কারের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গত ২ জুলাই সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব। কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট (অন্তর্ভুক্ত) করতে পারবে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ চালু রয়েছে, তা অন্যায্য দাবি করে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, ‘কোটা ব্যবস্থা আর রাখা হবে না।’ এরপর শিক্ষার্থীরা প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।