শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিজয় বাংলা মঞ্চের মানববন্ধন

জয় বাংলা মঞ্চের মানববন্ধন

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ০৬ জানুয়ারি জয় বাংলা মঞ্চের উদ্যাগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা খাজা মুহিব উল্লাহ্ শান্তিপুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়, বাকশালের মহাসচিব কাজী জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল্ দীপু মীর, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল, ওলামা লীগের যুগ্ম সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা আক্তার হোসেন বিন ফারুকীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিএনপি নেত্রী এতিমের টাকা আত্মাসাতের অভিযোগের মামলায় বিচারাধীন আদলতের রায়ের অপেক্ষায় মাত্র| দেশ,গণতন্ত্র ও জনগণ খালেদা জিয়ার হাতে কোনদিন নিরাপদ ছিলনা| বেগম জিয়া বিএনপির নির্বাহী সভায় বললেন প্রশাসন,পুলিশ,সেনাবাহিনী আমাদের সাথে আছে এবং জনগণও। তিনি এও বলেন বিচারক মামলার সঠিক রায় দেওয়া কোন ক্ষমতা নাই। এখানেই পরিস্কার বেগম জিয়া কতইযে অজ্ঞ এবং ষড়যন্ত্রে অভিজ্ঞ। বিচারাধীন বিষয়ে বিচারকের রায়ের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেছে। যা চরমভাবে আদালত অপমাননার মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে প্রশাসন,পুলিশ,সেনাবাহিনী ও জনগণ তার পাশে আছে বলে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার এক অপচেষ্টা।
যে দলের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জম্ম হয়নি। সে দলের কাছে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারের কথা অপ্রত্যাশা অমূলক। বিএনপি অতীতেও গণতন্ত্র বিশ্বাস করেনি এখনো করেনা ভবিষ্যতও করবেনা। তারা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে বিশ্বাসী। পিছনের দর্জা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অভ্যস্ত ইতিহাস তাই বলে| রাজনীতি ও ভোটের অধিকারের অন্দোলনের নামে আগুনসন্ত্রাসের মাধ্যমে পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়ে গণহত্যা করে। তাদের মুখে আজ গণতন্ত্র এবং জনগণের প্রতি দরদের কথা ভূতের মুখে প্রভু নামের তফজফ।
মিথ্যা ভানুয়াট ট্রাষ্টের নামে এতিমের টাকা আত্মসাতের পর ছিঃ লজ্জা থাকা উচিত| আবার কি করে স্থুল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে| যে দল ও দলের শীর্ষ নেতার হাতে এতিমের নিরাপদ নয়| বাংলাদেশের জনগণ ও জনগণের কষ্টে উপার্জিত সম্পদ বা অর্থও তাদের দ্বারায় নিরাপদ হতে পারেনা|
বিএনপি গোপনে সাম্প্রতিক দলের গঠনতন্ত্রের ৭-ধারা পরিবর্তন করেছে| নিজেদের দুর্নীতির বাস্তব চিত্র চিত্রায়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখেই এই পরিবর্তন এনেছে বলে অনেকেই ধারণা করছে।বিএনপির কাছে জাতি চায়,কেনো হঠাত করে এতবছর পর এই পরিবর্তন করা হলো ? মা আর পুত আদালতে বিচারাধীন দুর্নীতি মামলায় দুষী কি দুষীনা তা আদালতের প্রমাণের নিমিত্তে রায় ঘোষিত হওয়ার অপেক্ষা করছে মাত্র| তাদের চরিত্রের স্বচিত্র ভেসে উঠেছে| মনে নাড়া দিচ্ছে স্বীয় কৃতিকর্মের ফলের কথা| তাই তড়িঘড়ি করে দলের ৭ ধারা বাদ দিয়েছে বিএনপি| এমনকি নিজ দলের পদ হারানোর ভয়েও কাজ করেছে চরমভাবে|
জয় বাংলা মঞ্চের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্ নাফিয়ী তাঁর বক্তব্যে বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাতকারী ব্যক্তি যতই ক্ষমতাধর হোকনা কেনো বিচারের মাধ্যমে তার মানি অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত| দেশ,জনগণ ও আদলতের প্রতি অনাস্থাশীল ব্যক্তি বাংলাদেশে তার রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারেনা| এছাড়াও এই বিএনপি ঘাতকদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছে| যারা আজ সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মানবতাবিরোধী হিসেবে প্রমাণিত এবং অনেকের ফাঁসী কার্যকর করা হয়েছে কেউ পলাতক কারো আবার বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি| অতএব আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতিমুক্ত নির্মল সমাজ বিনির্মাণের লক্ষে বিজ্ঞ আদলতের নিকট এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় জয় বাংলা মঞ্চের এই মানবন্ধন থেকে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করি| রায়কে ঘিরে বিএনপি যদি আবারো নাশকতা,নৈরাজ্য,আগুনসন্ত্রাস কিংবা দেশবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়| তাহলে তা রাজপথে থেকেই তার সমীচীন জবাব দেওয়া হবে| এবার প্রতিবাদ নয়, করা হবে তীব্র প্রতিরোধ ইনশাআল্লাহ|
আরও পড়ুন

সর্বশেষ