বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েচট্টগ্রাম বিভাগনোয়াখালীর ৪ জনের মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় যে কোনো দিন

নোয়াখালীর ৪ জনের মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় যে কোনো দিন

নোয়াখালীর সুধারামের আমির আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় যে কোনো দিন (সিএভি) ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ০৬ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।   ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলার আসামি ওই চারজনের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও আব্দুল কুদ্দুস এবং পলাতক রয়েছেন আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। মামলার অন্য আসামি ইউসুফ আলী গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ চারজনের বিচার শুরু হয়।

২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন। গত বছরের ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওইদিনই প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত সংস্থা।

২০১৫ সালের ০৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেফতার হন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও ইউসুফ আলী। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় আব্দুল কুদ্দুসকে।

ওই বছরের ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরকে আত্মসমর্পণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা গ্রেফতার হননি। মনসুর পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন প্রসিকিউশন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ