শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনবেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপি

বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপি

BNP-ctgবিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বিএনপি এ সমাবেশ করে।

মহানগর বিএনপি: মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরাতে এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার নীল নকশা বাস্তবায়নে ক্ষমতাসীনরা ষড়যন্ত্র করছে। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রই এদেশের মানুষ মেনে নিবে না।  তিনি দলীয় কার্যালয় মাঠে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। ডা. শাহাদাত বলেন, এতিমদের জন্য আসা একটি টাকাও অপচয় হয়নি, তা ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। এ মামলা সম্পূর্ণ ভূয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে হয়রানি করার জন্যই প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বেগম জিয়ার মামলার বাদি হওয়ার পুরস্কার হিসেবে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশিদকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু ৫ জানুয়ারির মত নির্বাচন এদেশে আর হতে দেওয়া হবে না। এদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।

ডা. শাহাদাত অভিযোগ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর চট্টগ্রামবাসী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে পুরাতন রেলস্টেশনে সংবর্ধনা দিতে চাইলে আমি সংবর্ধনা নিব না বলে জানিয়ে দিয়েছিলাম। ফলে পূর্ব নির্ধারিত সংবর্ধনা বাতিল করে দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু নেতাকর্মীরা নতুন রেলস্টশন চত্বরে বেলা আড়াইটার দিকে আসলে তাদের উপর কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গ্রেপ্তার করে। সমাবেশে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জন সমর্থনহীন সরকার ক্ষমতা হারানোর ভীত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। বেগম জিয়া ও তার দল বিএনপি মামলা হামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে ভীত নয়। আগুনে পুড়ে যেমন সোনা খাঁটি হয় ঠিক তেমনি জালেম সরকারের নানামুখী নির্যাতন সহ্য করে আজ সকলে খাঁটি সৈনিকে পরিণত হয়েছে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ শামসুল আলম, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ–সভাপতি আলহাজ আবু সুফিয়ান, আলহাজ এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আলহাজ মোহাম্মদ আলী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কি, আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, কমিশনার মাহবুবুল আলম, কমিশনার নাজিম উদ্দিন, এড. মফিজুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কমিশনার আবুল হাশেম, টিংকু দাশ, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ সিহাব উদ্দিন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, হাজী মো. তৈয়্যব, শামসুল আলম ডক, আলহাজ শামসুল আলম, জি এম আইয়ুব খান, মো. শাহ আলম, আবু জহুর, জহির আহমদ, হাজী মো. বেলাল, ইব্রাহিম, চৌধুরী, শিহাব উদ্দিন মবিন, মো. আলী মিঠু, এড. সিরাজুল ইসলাম, কমান্ডার শাহবুদ্দীন, গাজী আইয়ুব, এম আই চৌধুরী মামুন, হাজী নুরুল আবসার, ডা. এস.এম. সরওয়ার আলম, নুরুল আকবর কাজল, আব্দুন নবী প্রিন্স, মোহাম্মদ আলী, জিয়াউদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আব্দুল বাতেন, ফরিদ আহমদ, মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর আজিম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন ডিপতী, মো. সেকান্দর, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আব্দুল্লাহ আল হারুন, এ কে খান, আব্দুল হালিম স্বপন, মো. সেলিম, রফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, রেহান উদ্দিন প্রধান, এড. নেজাম উদ্দিন খান, সেলিম উদ্দিন শাহিন, বেগম লুৎফুন্নেছা, আজাদ বাঙ্গালি, আরিফ মেহেদী, ইউনুচ চৌধুরী হাকিম, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আলমগীর নুর, নকিব উদ্দিন ভূইয়া, আব্দুল মতিন, ফয়েজ আহমেদ, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আব্দুল হাই, আবতাবুর রহমান শাহীন, আলহাজ জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, নুর হোসেন আব্দুল কাদের জসিম প্রমুখ।

দক্ষিণ জেলা বিএনপি : নগরীর দোস্ত বিল্ডিংস্থ দলীয় কার্যালয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত যার ধারাবাহিকতায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই কোন ষড়যন্ত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রুখতে পারবে না ইনশাল্লাহ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ–সভাপতি আলহাজ মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, সাবেক সিনিয়র সহ–সভাপতি আলহাজ মোশারফ হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক অতিরিক্ত জিপি এড. মো. কাশেম চৌধুরী, সহ ক্রীড়া সম্পাদক শওকত ওসমান, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন, এস এম জয়নাল আবেদীন, কে এম আনিছুর রহমান, আবদুল মান্নান, জাহেদুল হক, মনজুর মোরশেদ, হামিদুর রহমান পেয়ারু, মুহাম্মদ শহীদুল আলম শহীদ, ওবায়দুল হক রিপু, এম হান্নান রহিম, মো. শাহজাহান হোসেন, মো. মহিউদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, এম আর মামুন, মামুনুর রশিদ, গোলাম হোসেন, মো. জিসান, তৌহিদুল ইসলাম, আবদুস সবুর, মাহমুদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, খালেদ বিন আহমেদ নুর, মো. মুহসীন, আমান উল্লাহ বাবু, মাসুদুল ইসলাম প্রমুখ।
মহানগর যুবদল : মহানগর যুবদলের উদ্যোগে নগরীর কাজীর দেউড়ি চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর যুবদলের নেতা মো. মহসিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবদল নেতা শামসুল হক, নাজিমুল হক নাজু, আমজাদ আহসান, সাবের আহমদ, এস এম রব, নজরুল বাবু, তানভীর আহমদ, মো. শাহজাহান, ইয়াছিন রেজা রাজু, দেলোয়ার হোসেন, কুইনটেন রিভেরো, জাহিদুল ইসলাম, মো. তৈয়ব আলী, মোবারক আলী, মো. আলমগীর, ওয়াহিদুর রহমান কানন, জসিম, ওসমান, নাজিম, জাহাঙ্গীর আরাফাত নুর হিমেল, জাহাঙ্গীর, দেলোয়ার বাবু, জিয়া, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ