সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনসন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠায় সারা দেশে যখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল-সমাবেশের ওপর অঘোষিত...

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠায় সারা দেশে যখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল-সমাবেশের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে, সেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাদের প্রকাশ্যে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ

নাহিদ উল আলম, চবি প্রতিনিধিঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠায় সারা দেশে যখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল-সমাবেশের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে, সেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাদের প্রকাশ্যে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ভেতরে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই বহিরাগত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও শিবিরকে প্রকাশ্যে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা এর প্রতিবাদও জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা। জোহরের নামাজের পর কেন্দ্রীয় মসজিদের ভেতরে মূল সমাবেশে মিলিত হন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করেছি এবং নির্দিষ্ট সময়েই আমাদের কর্মসূচি শেষ করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) খান তৌহিদ ওসমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘শিবির আমাদের কাছ থেকে একটি ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। আমরা তাদের অনুমতি দিই।’ ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শিবিরকে অনুমতি কেন দেওয়া হলো জানতে চাইলে তৌহিদ ওসমান বলেন, ‘আমরা তাদের সীমিত আকারে অনুষ্ঠান করতে বলি।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার হুমকি দিয়ে শিবির এমন কর্মসূচি পালনের অনুমতি আদায় করে নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘২৯ আগস্ট চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যেই শিবিরের এই গোপন বৈঠক হয়। যদি রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও প্রশাসন শিবিরকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়, তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তা প্রতিহত করব।’

শিবিরের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক বদিউল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি ইমরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ