শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়গণমুখী সকল আন্দোলন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ফসল হয়েছে : সিইসি

গণমুখী সকল আন্দোলন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ফসল হয়েছে : সিইসি

বিএনপির প্রশংসা করে সমালোচিত হওয়ার পর এবার আওয়ামী লীগের প্রশংসা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। বুধবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সংলাপে সিইসি এ প্রশংসা করেন। এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নিবেদিত নেতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণআন্দোলন, যা ছাত্র আন্দোলন হিসেবে আমরা জানি; তখনকার সফল নেতারা এখানে রয়েছেন। ৭০-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বহু অর্জন, বহুমুখী, গণমুখী সকল আন্দোলন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ফসল।

১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে বঙ্গবন্ধু সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশ গঠনের দায়িত্ব কাঁধে নেন। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন; কুটনৈতিক সাফল্যে বহু দেশের আনকূল্য ও সমর্থন অর্জন করেন। নির্বাচন কমিশন গঠন করেন, ১৯৭৩ সালে জাতিকে প্রথম সংসদ নির্বাচন উপহার দেন এবং স্বাধীন দেশে প্রথম সংসদীয় সরকার গঠন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়।

জাতীয় চার নেতা হত্যার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৮১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বহু বাধা বিপত্তি, প্রতিকূলতা, ভয়ঙ্কর সব পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দলকে সুদৃঢ় অবস্থানে নিয়ে আসেন তিনি। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ছয় বছরের মাথায় ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

‘শেখ হাসিনা মুসলিম বিশ্বের প্রথম মহিলা বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেন এবং রায় কার্যলকর করেন। আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছে। উন্নয়নের প্রতিটি খাতে শিক্ষা, সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার, পরিবেশ সংরক্ষণ আজ বিশ্ব ধরিত্রীর মুকুট প্রধানমন্ত্রীর মাথায়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ মধ্যম আয়ে পরিণত হয়েছে।

 কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কূটনৈতিক সমাধান অর্জন বিশ্ব মাতৃকা্র আসনে সমাসীন প্রধানমন্ত্রী। ইসির আইন-বিধি বিধানের প্রায় সবই আওয়ামী লীগের আমলে তৈরি করা। বর্তমান ইসি আজ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। যা আওয়ামী লীগ সরকারই প্রদান করেছে। এখানে উপস্থিত অনেকের কাছ থেকে আগের অনেক পর্যায়ে শিক্ষা, দীক্ষা, সাহস, অনুপ্রেরণা পেয়েছি। অনেকের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি।

‘আজ ভিন্ন পরিস্থিতিতে ইসির দায়িত্ব পালনে আপনাদের সহযোগিতা, পরামর্শ, সুপারিশ কীভাবে নেওয়া যায়; সাহস পুঁজি করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালণা করতে সে সহযোগিতা পেতেই আজকের এ সংলাপ আয়োজন এবং তা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের যেসব আইন এবং বিধিবিধান বলে পরিচালিত হচ্ছে তার প্রায় সবই আওয়ামী লীগের শাসনামলে তৈরি হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ ইসি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ