মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েচট্টগ্রাম বিভাগরোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ফাঁড়ি হচ্ছে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ফাঁড়ি হচ্ছে

ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

নিরাপত্তা জোরদার করতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে। এজন্য জায়গা বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করতে এরইমধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন থেকেও পুলিশ ফাঁড়ি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে ওই এলাকায় টহল জোরদারসহ বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সহেলী ফেরদৌস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা  কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াসহ কয়েকটি অঞ্চলে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের জড়িত করতে না পারে, সেজন্য সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের যেন কোনও প্রতারক বা দুর্বৃত্ত বিভ্রান্ত করে সন্ত্রাসী-জঙ্গিকাণ্ডে জড়িত করতে না পারে, সেজন্য পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগ সতর্ক রয়েছে।

সব পক্ষের সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন  বলেন, ‘কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে ২৫টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ১২টি পেট্রোল টিম সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। রয়েছে অনেক আনসার সদস্য। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়া বিজিবির সদস্যরা টহলে রয়েছেন।

কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইন উদ্দিন বলেন,  ‘রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ৪০ জন আনসার ছাড়াও একজন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে বেশকিছু পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া অনেক আগেই আমাদের পক্ষ থেকে এই এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটি এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তারপরও স্থায়ীভাবে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন চলে আসছে কয়েক দশক ধরে। বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের মুখে সেখান থেকে পালিয়ে এসে চার লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। চলতি বছরের ২৪ আগস্টের পর নতুন করে বাংলাদেশে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। এখনও রোহিঙ্গাদের আসা অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও অবনতি না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ