রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

PM-KUTUPALONG-ROHINGYA-CAMPঅবিলম্বে রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ এবং তাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও মিয়ানমারের প্রতি চাপ দিতে আহ্বান জানান। মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেছেন, আমরা মিয়ানমার সরকারের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন বন্ধ করে। তারা যেন প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যা যা সাহায্য করা দরকার, আমরা তা করব।

মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ মিয়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও এ দেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো হলে তা বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন সরকারপ্রধান। এসময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যেন কষ্ট না হয়, তাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে কেউ যেন ভাগ্য গড়তে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।

এর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে আজ ১১টা ৩০মিনিটে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।  সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

তার সফরসঙ্গী হয়ে ঢাকা থেকে আসেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, কক্সবাজারের সাংসদ সাইমুম সরোয়ার কমল, সাতকানিয়ার সাংসদ আবু রেজা নদভী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সিনিয়র সচিব সইরা বেগম ও এহসানুল করিম।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,  সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায় দেশটির একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ, তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ নানা নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নির্মম নির্যাতন, স্বজনের মৃতদেহ রেখে টানা না খেয়ে প্রাণ নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক নতুন,পুরাতন মিলে ৭লাখ রোহিঙ্গা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ