সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপসংসদ ভেঙে দিয়ে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান

সংসদ ভেঙে দিয়ে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান

সংসদ ভেঙে দিয়ে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকালে উত্তরার উত্তরার ৮নং রোডের ৪নং সেক্টরের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,  ‘আমরা বরাবরই বলে এসেছি, নির্বাচনের আগে সংসদ ভাঙতেই হবে। এর তো বিকল্প নেই। ৩০০ জনের সংসদ নির্বাচনের সময়ে ৬০০ জনের সংসদ থাকবে- এটা একটা হাস্যকর ঘটনা।’

এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপি মহাসচিব। একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো সংঘাত নয়, সংলাপে-সমঝোতায় সংকটের সমাধান চায় বিএনপি বলে জানান তিনি। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে জাতিসংঘকে অবহিত করতে হবে। একাদশ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে অবশ্যই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন,  জনগণের এই সরকারের প্রতি আস্থা নেই। আমিই সব -এই দাম্ভিকতা পরিহার করতে হবে। আমি সবকিছু চাপিয়ে দেবো- সেই ধারণা বদলাতে হবে।

এ ব্যাপারে বিএনপি ‘সহায়ক সরকারের’ একটি রূপরেখা যথাসময়ে জাতির কাছে উপস্থাপন করবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সহায়ক সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার একই কথা। নামটি বড় কথা নয়। আমরা চাই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার।’

তিনি বলেন, আমরা এখনই সংঘাতে যেতে চাই না। সংঘাত এড়িয়ে যেতে চাই। আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে আগামী নির্বাচন হোক- সেটা আমরা চাই, সিরিয়াসলি চাই। আমরা কখনোই চাই না যে, সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি হোক। সংলাপের ব্যাপারে সরকারের নেতিবাচক অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা নির্ভর করবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততদিনে আমাদের এই কথাটার প্রভাব কতটুকু পড়ছে, আমাদের বক্তব্যের প্রভাব কতটুকু পড়ছে দেশে-বিদেশে, আন্তর্জাতিক বিশ্বে, গণতান্ত্রিক বিশ্বে। তার ওপরে নির্ভর করবে, উনারা কীভাবে চিন্তা করছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক হয়ে থাকেন, দেশের ভালো চান, কল্যাণ চান, গণতান্ত্রিক হয়ে থাকেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন -তাহলে তাদের কথা বলা-সংলাপ করা খুব জরুরি।

জঙ্গি নির্মূলে সরকারের বিভিন্ন সময়ে ঘোষণার পরও কিছুদিন পর পর জঙ্গি আস্তানার সন্ধানে ‘জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর কোনো চক্রান্ত হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা (জঙ্গি) খুবই সেনসেটিভ একটা ইস্যু। আমরা বার বার বলেছি যে, ট্রান্সপারেন্ট হোন, স্বচ্ছ হোন। যাকে ধরছেন তাকে মেরে না ফেলে, তাকে তদন্ত করুন এবং এর পেছনে কারা আছে, কারা অর্থ যোগান দিচ্ছে, সংগঠক কারা, কারা কী করছে- তা বের করে নিয়ে এসে জনগণের সামনে তুলে ধরুন। এটা সবচেয়ে বেশি দরকার।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ