বুধবার, মে ১, ২০২৪
প্রচ্ছদইসলাম ও জীবনলাইলাতুল কদর। সম্মানিত রাত

লাইলাতুল কদর। সম্মানিত রাত

 লাইলাতুল কদর। সম্মানিত রাত। এ রাত সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। এক হাজার রাত ইবাদত করলে যে সওয়াব হতে পারে, এই এক রাতের ইবাদতে তার চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা এ রাত সম্পর্কে বলেন, (তরজমা) লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিব্রীল আ.) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক কল্যাণময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে অবতরন করেন। যে রাত পুরোটাই শান্তি, যা ফযর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।সূরা কদর (৯৭) : ৩-৫

রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরের রাতকে ইবাদতের মাধ্যমে সারা রাত্র জাগরণ করে কাটাবে তার পূর্বকৃত গুনাহসমূহকে মাফ করে দেয়া হবে’। (বুখারি ও মিশকাত শরিফ)

আল কুরআনে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে ও উত্তম বলা হয়েছে। হাজার মাস ৮৩ বৎসর ৪ মাস হয়ে থাকে। অর্থাৎ হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগী করে যে সওয়াব অর্জন করা যায় সে সওয়াব শুধু এক কদরের রজনীতে ইবাদত-বন্দেগী করে-ই অর্জন করা যায়। এ জন্য যতটুকু পারা যায় ততটুকু ইবাদত করে কদরের রজনীকে কাটানো আমাদের জন্য জরুরি। বিখ্যাত সাহাবি হযরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘মহানবী সা. ইরশাদ করেন,‘যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থেকে ইবাদত কর’। মিশকাত ও বাইহাকি শরিফ। রাসুল সা: ইরশাদ করেন,‘তোমরা লাইলাতুল কদরকে মাহে রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহে তালাশ কর। বুখারি শরিফ। হযরত উমর রা: থেকে বর্ণিত রাসুল সা. বলেন,‘রামাযানের ২৭ তারিখের রাতের ভোর পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগী আমার কাছে সারা রামাযানের অন্য সব রাতের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয়। তিরমিযি শরিফ। হযরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ,একদা আমি রাসুল সা. কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি কদরের রাত সর্ম্পকে অবহিত হতে পারি তবে আমি কি করব? তখন রাসুল সা: আমাকে এই দু’য়া পাঠ করার জন্য বললেন। দু’য়াটি হল,‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ