মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করতে হলে পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করতে হলে পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হলে পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটোরিয়ামে ‘খাদ্য, পুষ্টি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় দেশি ফলের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার ও ফলদ বৃক্ষ রোপন পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। খাদ্য পুষ্টি অর্থ চাই, দেশি ফলের গাছ লাগাই’ এ প্রতিপাদ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী (১৬-১৮ জুন) ফলদ বৃক্ষ রোপন পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এসডিজির মধ্যে অনেকগুলো লক্ষ্য আমরা ভালোভাবে অর্জন করতে সক্ষম হবো। পুষ্টির দিকে নজর দেওয়া আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। পুষ্টির ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারলে ভবিষ্যতে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো। তিনি বলেন, আমাদের কোনো খাদ্যাভাব নেই, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এদেশের মানুষের প্রচেষ্টায় খাদ্যাভাব দূর হয়েছে সে জন্য জনগণকে অভিনন্দন জানাই। খাদ্যাভাব দূর করার পেছনে আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণার অবদান রয়েছে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণা ছাড়া আমাদের মতো দেশে যেখানে অনবরত জনসংখ্যা বাড়ছে ফসলের জমি কমছে সেখানে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া উপায় নেই। আধুনিক প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, ‘খাদ্যাভাবে চলে যাওয়ার পর আমাদের দৃষ্টি স্বাভাবিকভাবে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকে গেছে। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য আমাদের পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। এখনও আমাদের দেশে পুষ্টির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। পুষ্টির অভাবে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের অসুবিধা হয়। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

মুহিত বলেন, ‘পুষ্টির দিকে ব্যাপকভাবে নজর দেওয়া দরকার। আমরা পুষ্টির দিকে তেমন উদ্যোগী নই। আমরা যেভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি পুষ্টির দিকে আমরা সেভাবে নজর দিতে পারিনি। এতে নজর দেওয়া দরকার। নজর দিলে কয়েক বছরের মধ্যে এখানেও আমরা সফলতা অর্জন করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত ও অপ্রচলিত ৭০টি ফল উৎপাদন হয়। এসব ফল মাত্র চার মাস উৎপাদন হলেও এ চার মাসকে আমরা আট মাস করে দিয়েছি। এখানে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এ উন্নতিকে আমাদের ধরে রাখা দরকার। ধরে রাখার জন্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী ফলকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।

মুহিত বলেন, ‘৪০ ভাগ ফল আট মাসে পাওয়া যায়। এ ৪০ ভাগ ফলকে কীভাবে আমরা ৮০ ভাগে নিয়ে যেতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হওয়া উচিত। যাতে বছরের আট মাসে আমরা এসব ফল পেতে পারি। তিনি বলেন, ‘ফল সংরক্ষণে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন উপায়ে ফল সংরক্ষণ হয়। আমাদের দেশেও তা প্রসার হচ্ছে। এক সময় আলু ছাড়া কোনো কিছু সংরক্ষণ করতাম না। এখন ফল, ফসল সংরক্ষণের সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। আমাদের দেশে যেসব মাল্টি পারপাস কোল্ড স্টোরেজ হয়েছে সেখানে আলু ছাড়া ফল ফসল আমরা সংরক্ষণ করতে পারি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম মোফাজ্জল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশারফ হোসেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ