শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপোড়া মরদেহটি স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আশরাফের

পোড়া মরদেহটি স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আশরাফের

শনিবার সকালে খুলশী থানাধীন আমবাগানের ক্যান্টিন গেট এলাকার নালার ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া যুবকের আধাপোড়া মরদেহটি শনাক্ত করেছে তার পরিবার। ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ আশরাফ। আশরাফ স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একই থানা এলাকায় খুন হওয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সেলিম ওরফে মদ সেলিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিল আশরাফ। পুলিশের সন্দেহ দু বছর আগে খুন হওয়া মদ সেলিমের অনুসারীরাই আশরাফকে খুন করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের নগর সাধারণ সম্পাদক এস কে খোদা তোতনের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা চলে আসছিল। এর এক গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন মদ সেলিম। আরেক গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন আরশি নামের আরেকজন। নিহত আশরাফ আরশীর অনুসারি ছিলেন। পাশাপাশি ‘আশরাফ বাহিনী’ নামে তার আলাদা একটি গ্রুপও ছিল। মদ ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে দুই বছর আগে মদ সেলিমকে খুন করার ঘটনায় আশরাফকে দায়ী করেছিল সেলিমের পরিবার। পরে এ ঘটনায় হওয়া মামলায় আশরাফকে এক নম্বর আসামি করা হয়।

এদিকে মদ সেলিম খুন হওয়ার পর তার গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল রণি, সাদ্দামসহ বেশ কয়েকজন। সেলিম খুন নিয়ে তাদের সঙ্গে আশরাফের মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছিল। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, শুক্রবার রাত একটার দিকে খুলশী থানাধীন রাহাত সেন্টারের আরশির অফিসের নিচে অবস্থান করছিল আশরাফ। এ সময় মদ সেলিমের অনুসারীরা চোর চোর বলে আশরাফকে তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং এক পর্যায়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

পরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে আমবাগান ক্যান্টিন গেট এলাকায় ক্রিকেট বল কুঁড়াতে গিয়ে শিশুদের দল নালার মধ্যে একটি আধপোড়া মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে সকাল ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে খবর পেয়ে চমেক হাসপাতালে এসে মরদেহটি শনাক্ত করে কর্ণফুলি থানার ইছানগরের বাসিন্দা মো. জামসেদ। জামসেদ মরদেহটি তার ছেলে আশরাফের বলে নিশ্চিত করেন। খুলাশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন শনিবার রাতে বলেন, ‘সকালে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ আশরাফ। তার পরিবারের সদস্যরাই তাকে শনাক্ত করেছে। কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘আশরাফ দু বছর আগে খুলশী থানা এলাকায় হওয়া একটি হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি। সন্দেহ করছি ওই মামলার বাদিরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এখনও মামলা হয়নি। মামলা হওয়ার পর পুরো বিষয়টি বলা যাবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ