ইকুয়েডরের উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের পর থেকে জীবিতদের খোঁজে ধ্বংস্তূপে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ গত সাত দশকের মধ্যে ইকুয়েডরের সবচেয়ে শোচনীয় ঘটনা বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাতে উপকূলীয় শহর মান্তার কাছে একটি হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই মেয়ে শিশুসহ ছয়জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুদুটির একজনের বয়স তিন বছর ও অপর জনের নয় বছর। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন শেষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট কোরেয়া বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছি আমি। কারণ ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ অব্যাহত রেখেছি আমরা। ধ্বংসস্তূপে জীবিতরা আটকা পরে আছেন, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাদের উদ্ধারকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ভূমিকম্পে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধসে পড়েছে বহু ভবন, সেতু; সড়ক ব্যবস্থা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছে পর্যটন শহর পেদারনালেস ও পোর্তোভিয়েজো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশান্ত মহাসগারের তীরে পামগাছ ঘেরা ছিমছাম শহর পেদারনালেস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পুনর্নির্মাণের খরচ কয়েশ শত কোটি ডলারে পৌঁছে যেতে পারে।
দ্য অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস্ এর মহাসচিব লুয়িস আলমাগরো জানিয়েছেন, পুনর্নির্মাণ কাজের জন্য সংস্থাটির জরুরি তহবিল থেকে ইকুয়েডরকে সহায়তা দেওয়া হবে। সোমবার ইকুয়েডরের অর্থমন্ত্রী এক ঘোষণায় চীনা উন্নয়ন ব্যাংক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে এই অর্থ পুনর্নির্মাণ খাতে দেওয়া হচ্ছে কিনা তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
